১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পিরোজপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পিরোজপুরে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কঁচা, পোনা,বলেশ্বর, কালীগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে এক থেকে দেড় ফুট বেড়েছে।

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদীপাড়ের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে।

জেলা ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা মঠবাড়িয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলার চর এলাকার মানুষের মধ্যে অনেকটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া ভাণ্ডারিয়া ও কাউখালী উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব এলাকার অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন উপকূল এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, রেমাল দূযোর্গ প্রতিরোধে আজ দুপুরে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ৩৯৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। সাত উপজেলায় ৬০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সিপিবির সাত হাজার ২০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবক উপকূল এলাকায় মাইকিং করাসহ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তবে নদীপাড়ের মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায়। জেলায় ৩৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় মানুষের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র কম। এ ছাড়া অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেখানে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সু-ব্যবস্থা।


আরো সংবাদ



premium cement