শিশু সাফওয়ান হত্যা মামলার দুই আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
- উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:১৫
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু সাফওয়ান হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪ আসামির মধ্যে এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে সিনিয়র বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া রিজভী মৌরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বরিশাল জেলা জজ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর নওশের আলী বলেন, গৌরনদী থানা পুলিশ আদালতে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে বিচারক সুমাইয়া রিজভী মৌরী তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরো বলেন, সাফওয়ান নিখোঁজের পর নিহত হলে হত্যা মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।
সাফওয়ানের বাবা ইমরান শিকদার গত ১৭ জানুয়ারি গৌরনদী মডেল থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। আটকদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- নিহত সাফওয়ানের প্রতিবেশী রুমান চৌধুরী, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল চৌধুরী, রুমানের স্ত্রী আখি, বোন রাবিনা। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল চৌধুরী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মাদক কারবারের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৫ জানুয়ারি বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় দাদা বাড়িতে বেড়াতে আসা শিশু সাফওয়ান। এক দিন পর (১৬ জানুয়ারি) ভোরে তার লাশ রাস্তার পাশে একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ইউপি সদস্য মোজাম্মেল ও রুমান চৌধুরীর বসতঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ দিকে শিশু সন্তানের নিথর দেহ দেখার পর থেকে এখনো বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন সাফওয়ানের বাবা-মা ও স্বজনরা।
বড়দের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শিশু সাফওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা স্থানীয়দের।
তাদের অভিযোগ, আসামিপক্ষের স্বজনরা সাফওয়ান বাবা ও দাদাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। প্রশাসনের কাছে তারা নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।