১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচার হাসিনার বিচার দেখতে চায় জনগণ : সারজিস

ভোলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় সারজিস আলম - ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচার খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হাসিনাসহ যাদের নির্দেশে এত মানুষকে খুন করা হয়েছে, রক্ত ঝরানো হয়েছে, তাদের শাস্তির কথা স্পষ্টভাবে এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে।’

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে দ্বীপ জেলা ভোলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের জনমত তৈরিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণসংযোগের অংশ হিসেবে ভোলা শহরে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছি। সবাই আমাদের ৭ দফা দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্রে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার শ্রমিক-মেহনতি মানুষের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ থাকতে হবে।’

সারজিস বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাংলাদেশ থেকে খুনি শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে ভারতে পাঠিয়েছে। তাই যেই ব্যানারকে সামনে রেখে একটি বড় অভ্যুত্থান হলো সেই ব্যানারের নাম সুস্পষ্টভাবে ওই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা, আওয়ামী খুনি ও তাদের দোসরদের বিচার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখসহ সাত দফা যৌক্তিক দাবি নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহ সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, সমন্বয়ক এম এ সাঈদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফয়সাল, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ ভোলার শত শত সমন্বয়ক ও ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement