ববি-সংলগ্ন মহাসড়কে এক সপ্তাহে ছয় দুর্ঘটনায় নিহত ৩
- বরিশাল ব্যুরো
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৩৮
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)-সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে এক সপ্তাহে ছয়টি সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে শিশুসহ ছয়জন। ঝুঁকিতে থাকা ববি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অবিলম্বে মহাসড়কে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি তুলেছে।
তথ্য মতে, গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ববি-সংলগ্ন মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নারায়নগঞ্জ ট্রাভেলসের চাপায় মাইশা ফৌজিয়া মিম নিহত হন। তিনি ববির পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনার বিচার ও ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীরা টানা তিন দিন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়ে জনসাধারণ।
এছাড়া শনিবার (২ নভেম্বর) মহাসড়কের একই স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো: সিফাত (১৩) ও মো: সিহাব (১৪) আহত হন। পরদিন রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সিফাতের। সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অন্তরা পরিবহন নামে একটি বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলচালক স্কুল শিক্ষক ইউনুস বিশ্বাস নিহত হন।
এছাড়াও গত রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে ববি-সংলগ্ন একই মহাসড়কের অগ্রযাত্রা স্কুলের সামনে ভোলা-বরিশাল আন্তঃজেলা মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের স্থাপন করা স্পিডব্রেকারে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় একজন রিকশাচালক, একজন মোটরসাইকেলচালক ও তার স্ত্রী এবং মোটরসাইকেলচালক বাবা-ছেলে আহত হয়েছেন।
মহাসড়ক অন্ধকার থাকার পাশাপাশি নির্দেশক চিহ্ন না দেয়ায় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ববি শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, সারাদেশে সড়কের অব্যবস্থাপনা চিত্র খুব সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন এই মহাসড়কের অংশে। এই মহাসড়কে সাইকেল-থ্রিহুইলারসহ সবধরনের যান একই লেন দিয়ে অতিরিক্ত গতিতে চলছে। গতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া ফিটনেস-বিহীন যানবাহন, অদক্ষ চালক-হেলপার, অসচেতন পথচারীদের কারণে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
ববির প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের অনুরোধে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ মহাসড়কে স্পিডব্রেকার স্থাপন করেছে। ববি-সংলগ্ন ভোলা রোডে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট করেছে সওজ। এছাড়া মহাসড়কের দু’পাশে রেলিং নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক লেনকে দুই লেনে রূপান্তর করতে মহাসড়কে অস্থায়ীভাবে ড্রাম বসানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ববির সামনের মহাসড়কে নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। মহাসড়কে আলোর স্বল্পতা দূর করতে পল্লী বিদ্যুতের সাথে কথা হয়েছে, তারা একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। মহাসড়কে গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের পরিবর্তে ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া রোড সাইনগুলো পুনরায় স্থাপনে কাজ চলছে।’
দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সব দফতর একযোগে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা