০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কুয়াকাটায় নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা

কুয়াকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুয়াকাটায় সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা।

রোববার মধ্যরাতে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। তাই শেষ সময়ে সাগর যাত্রার প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।

সাগরে মাছ ধরার নতুন আশায় কেউ ট্রলার মেরামত করছেন, জাল বুনছেন আবার কেউ কেউ রং করছেন ট্রলারে। ট্রলার ধোয়া-মোচাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলছেন ট্রলারে। জেলে পল্লীতে এখন যেন দম ফেলারও সময় নেই।
জেলে ও ট্রলার মালিকরা আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে এবার জালে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনেও সরকারি প্রণোদনার চাল এখনো প্রকৃত জেলেরা পায়নি বলে দাবি করছে তারা। এছাড়া মৌসুমজুড়ে সাগরে মাছ ধরতে না পারায় ২২ দিনে অনেক জেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ সময় সামুদ্রিক মাছ আহরণ, পরিবহণ, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল।

এ সময় ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিল মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

দীর্ঘদিন পর সাগরে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরা পড়বে বলে দাবি মৎস্য সংশ্লিষ্টদের।

মহিপুরের জেলে ইয়াসিন হোসেন বলেন, আমি সাত থেকে আট বছর ধরে জেলে কাজ করি। কিন্তু সরকারি প্রণোদনার তালিকায় আমার নাম নেই। যারা অন্য পেশায় জড়িত তারা সরকারি চাল পেয়েছে। তাই প্রণোদনার তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

রাঙ্গবালী মৌডুবী এলাকার জেলে সোহেল মিয়া বলেন, আইন মেনে আমরা ২২ দিন ধরে কর্মহীন সময় পার করেছি। এ নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মাত্র ২৫ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। পরিবারে পাঁচজন সদস্য এই চাল দিয়ে কিছুই হয়নি। তাই ২২ দিনে সাত থেকে আট হাজার টাকার মতো ধার করে চলতে হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে প্রণোদনার চাল বাড়ানোর দাবিও জানান। তবে সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়লে আশা করছি ধার-দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
তিনি বলেন, আমরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
রোববার মধ্যেরাত থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করব। তাই ট্রলারে জাল ও বরফসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তুলছি। গতকাল আমাদের ট্রলারের রংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘কলাপাড়ার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৭ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারি প্রণোদনার চাল দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শতভাগ সফল করতে সাগর ও নদীতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড ও নৌ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করেছেন। আমরা আশা করছি জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ ধরতে পারবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি : মির্জা ফখরুল আশুলিয়ায় শ্রমিক কলোনিতে আগুন, ৭ কক্ষ পুড়ে ছাই শিখদের ওপর হামলায় অমিত শাহর সংশ্লিষ্টতা : কানাডার কূটনীতিককে তলব দিল্লির ‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট’ হামাসের আরো এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি ইসরাইলের সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩ জন কারাগারে যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে : মাহমুদুর রহমান মান্না জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা এনকাউন্টারে নিহত ২ গেরিলা গফরগাঁওয়ে বিএনপির প্রতিবাদ মিছিলে হামলা, আহত ৭ জামালপুরে আ.লীগ নেতার অপকর্ম ও নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন ছাত্রলীগ নেতা ওয়াংখেড়ে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে

সকল