পাথরঘাটায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামী কারাগারে
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৫
বরগুনার পাথরঘাটায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী মোসা: পারভিন বেগমকে নির্যাতনের মামলায় স্বামী শাহাদাত হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহাদাত জামিনের আবেদন করলে বিচারক এস এম শরীয়ত উল্লাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, তার বাবাকেও আদালত কারাগারে পাঠান।
শাহাদাত হোসেন উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের সিংড়াবুনিয়া এলাকার খলিল খানের ছেলে। অন্যদিকে, পারভীন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের আব্দুস সালামের মেয়ে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, শাহাদাতের বাবা খলিল খান (৫৯), মা হালিমা বেগম (৫৪) এবং বড় ভাই শাহিন (৩৮)।
পারভিন বেগম জানান, গত ২০১৪ সালের জুন মাসের ২০ তারিখে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। এর কিছু দিন পরই শাহাদাতের মা হালিমা বেগম মোটা অঙ্কের যৌতুক চেয়ে মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। শাহাদাত হোসেন তার মায়ের সাথে মিলে টাকা চেয়ে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে পারভীন নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হলে পরে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা করে পারভীনকে ঘরে তুলে নেয়। এর কিছু দিন পর আবারো বিদেশ যাওয়ার জন্য যৌতুকের দাবি করলে পারভীনের বোনদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে স্বামীকে বিদেশ পাঠান। সেখানে গিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলতে থাকেন শাহাদত।
পারভীন আরো বলেন, বিদেশ থেকে দেশে এসে আবার যৌতুকের জন্য মারধর এবং নির্যাতন শুরু করে তালাক দিয়ে কিছুদিন পরে স্থানীয় সালিশ মীমাংসের মাধ্যমে তাকে আবারো ঘরে তুলে নেয়। পরে গত ২৯ জুলাই তাকে আবারো নির্যাতন করে ছোট ছেলে আব্দুর রহিমকে রেখে ঘর থেকে বের করে দেন। তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন পারভীন।
তিনি আরো জানান, তার স্বামী শাহাদাত হোসেন নারী লোভী হওয়ায় তাকে-সহ চারটি বিয়ে করেছেন। শাহাদাতের দ্বিতীয় স্ত্রী শিমু, তৃতীয় স্ত্রী সুফিয়া এবং চতুর্থ স্ত্রী মরিয়ম রয়েছে।
শাহাদাত হোসেনের বড় ভাই শাহিন মিয়া মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ‘আমার ভাইয়ের সাথে তার স্ত্রী পারভীনের একটি মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি চেয়েছিলাম একটা সমাধান করতে। তিনি তা না করে মামলা করেছেন।’
তার ভাই শাহাদাত তিন লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে বিদেশে যাওয়া এবং একাধিক বিবাহের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন এগুলো সব মিথ্যা।
আসামির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মঞ্জু জানান, ‘আমার মক্কেল শাহাদাতকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আবারো আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত করবো।
পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মুবিনুর রহমান জানান, ‘আদালতে শাহাদাত হোসেন জামিনের জন্য আবেদন করলে শাহাদাতকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন আদালত।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা