২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বরিশালে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বরিশালে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরিশালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

এ মামলায় বরিশাল রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের ৪০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন রনিকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে আশিকুর রহমান আসিফ (২০) বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা করেন। আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম পান্না এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ আক্তারুজ্জামান জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো: মোখলেচুর রহমান মামলাটি এজাহার রুজু করার জন্য আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান ও আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন সেরনিয়াবাত, বরিশাল রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো: হুমায়ন কবির, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন, বরিশাল জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো: এহসানউল্যাহ, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, আগৈলঝাড়া থানার সাবেক ওসি মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছাত্তার মোল্লা, সৈয়দ আশরাফ মিয়া, মামুন কবিরাজ, অনিমেষ মণ্ডল ও স্বপন মণ্ডলসহ মামলায় অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বরাতে আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম পান্না জানান, মামলার আসামি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, মোর্তুজা খান, রইচ সেরনিয়াবাত ও আবুল সালেহ লিটন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা গত ১৫ বছর ধরে সমগ্র জেলাকে একটি নৈরাজ্যকর জনপদে পরিণত করেন।

আসামি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাদির বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্ররোচনায় পুলিশ কর্মকর্তারা ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল নেতা রনিকে ঢাকার নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে ছাত্রদল নেতাকে অমানুষিক নির্যাতন। ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটায় আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস ব্রিজের পশ্চিম পাশে রাস্তায় ছাত্রদল নেতা রনিকে গুলি করে হত্যা করে। পরে সকল আসামি এ বিষয়টিকে একযোগে ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টার নামে প্রচারনা করে। আসামিদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পায়নি কেউ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আদালতে মামলা করেন।

মামলায় বাদি আরো উল্লেখ করেন, প্রধান আসামি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ১৯৭৪ সালে বিএম কলেজের ছাত্র নজরুল, সদরুল ও সমরেশকে রাতের আঁধারে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে খুন করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারত না যাওয়ায় আরো ৩৮ কোটি রুপি পাচ্ছে পাকিস্তান পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৬ সৈন্য নিহত নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের হারের বৃত্তেই ম্যানসিটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধে ইইউ’র ১০ লাখ ইউরো বরাদ্দ গোলান মালভূমিতে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব ৬ মাসের জন্য বাড়ালো জাতিসঙ্ঘ আইএসকে নির্মূল করার এখনই সময় : এরদোয়ান নির্বাচনী সময়ের বিষয়ে সরকারের ‘স্পষ্ট বক্তব্য’ চায় বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীরাও রাবিতে ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনকে শাস্তি প্রকল্পের পুরো কাজ দেখতে ৯ জোনে তদারকি কমিটি

সকল