ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রিকশাচালক আতিক কারো সহায়তা পাননি
- বগুড়া অফিস
- ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বিগত ৫ আগষ্ট তীব্র গণআন্দোলনে যখন ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার লেলিয়া দেয়া বাহিনী পিছু হটছিল ঠিক তখনই ঢাকার সাভার থানার সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ। বুলেটবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন অগণিত মানুষ। দীর্ঘ সময় লড়াই শেষে বিজয় হয় ছাত্র-জনতার। সে দিন পুলিশের বুলেটের আঘাতে ডান পায়ে গুরুতর আহত হন রিকশাচালক আতিকুর রহমান (২৮)। আন্দোলনকারীরা রক্তাক্ত আতিককে দ্রুত নিয়ে যান এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মাসজুড়ে তার চিকিৎসা চলছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনো নেতা কিম্বা কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা মেলেনি আতিকুলের ভাগ্যে। তিন দফা অপারেশন হলেও এখনো সুস্থ হতে পারেননি তিনি। নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে অসহায় আতিকের।
আতিকুর রহমান বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম প্রামানিকের বড় ছেলে। মা-বাবা এবং ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার সাভারে বাস করেন। একসময় বেক্সিমকোর গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। চাকরি চলে যাওয়ার পর রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। এক সন্তানের জনক আতিক এবং তার ছোট ভাই শাহিনের উপার্জনেই মূলত চলে সংসার। শাহিন গার্মেন্ট কর্মি। তিন মাস ধরে সেও বেতন পায় না। ফলে বড় ভাই আতিকের উপার্জনেই চলছিল সংসার। ৫ আগষ্ট আতিক বুলেটবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে চরম দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে পুরো পরিবার। ছাত্র-জনতা যখন বিজয়ের এক মাস পূর্তিতে শহীদি মার্চ করছে তখন আতিকের মতো শত শত আহত মানুষ হাসপাতালে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা অনেকের ভাগ্যেই জুটছে না।
আতিকের ভাই শাহিন জানায়, ‘টেলিভিশনে সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাহায্যের কথা শুনলেও এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি। এমনকি চিকিৎসা সহায়তার কথা বলে অনেকে আতিকের ছবি নিলেও ভাগ্যে একটা টাকাও জোটেনি।’ একদিকে সংসার চালানো অন্যদিকে ভাইয়ের চিকিৎসার জোগান দিতে নাজেহাল ছোট্ট শাহিন। সে বৈষম্যবিরোধী নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের প্রতি আতিকের চিকিৎসার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে। রিকশা চালক আতিকুরের সহযোগিতার জন্য তার ছোট ভাইয়ের ০১৩২৩-৭৩৪৬৩৫ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা