ঈদগাঁওয়ে ৯ কিলোমিটার সড়কে ৫শ’ খানাখন্দ
জন ও যান চলাচলে ঝুঁকি- আতিকুর রহমান মানিক ঈদগাঁও (কক্সবাজার)
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদে যাওয়ার প্রবেশপথ দিয়েই খানা খন্দের শুরু। ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটির শুরুও সেখানে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদার নামে সড়কটির নামকরণ। এ সড়ক দিয়ে যেতে হয় ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ, ইউএনও অফিসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে। এ ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষি, ব্যাংক বীমাসহ নানা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ারও সড়ক এটি।
সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাস স্টেশনের উত্তরদিকে খোদাইবাড়ি নতুন রাস্তা মাথা থেকে গোমাতলী বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে উপজেলা ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে, জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চবিদ্যালেয়ের সামনে, বাঁশঘাটা পয়েন্ট, ইউছুপের খীলের রাস্তা মাথা, রেল লাইনের পশ্চিমের সিকদারপাড়া, পূর্ব পোকখালী, অঁর গোরা, পূর্ব গোমাতলী, বাংলা বাজার ও গোমাতলী বাজারের পূর্ব পাশসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫০০-এর বেশি খানাখন্দে ভরপুর। এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে পোকখালী, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, চার বছর আগে সড়কটির সংস্কার কাজে টেন্ডার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে অল্পদিনেই সড়কটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয় কলিম উল্লাহ নামের এক বাসিন্দা জানান, টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে গর্তগুলোতে জমে থাকা পানিতে উল্টে যাচ্ছে যানবাহন। কোথাও কোথাও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে হেঁটে চলাও দায়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে দুর্ঘটনার কবলে মৃত্যু অথবা পঙ্গুত্ববরণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিদিন কাঁদা মাটি, নোংরা পানি পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়। যানবাহনে গেলে চরম ঝুঁকিতে থাকতে হয় সহপাঠীদের।
বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত স্কুল শিক্ষক নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে বহু আগে। দ্রুত সংস্কার করা না গেলে তিন ইউনিয়নের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি সৎ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে কাজটি করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ঈদগাঁওয়ের প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। বর্ষার পরপরই কাজ শুরু হবে।