বগুড়ার শেরপুরে পল্লীবিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক
- শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বোরো মৌসুমের শেষেই পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। বিগত এক সপ্তাহে অন্তত দশটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় সঙ্ঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। এসব ট্রান্সফরমারই কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্পের। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।
সর্বশেষ গত শনিবার রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ভায়রা গ্রামে মোহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন সেচ পাম্পের দশ কিলো ভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (কেভিএ) ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই রাতে পাশের তালতা এলাকায় বহুমুখী সেচ প্রকল্পের পাহারাদার হাসমত আলীকে বেধড়ক মারধর ও বেঁধে রেখে পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে গ্রামের লোকজন ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে আহত হাসমতকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ৪ ও ৫ জুলাই রাতে মাথাইচাপর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সেচ পাম্পের পাঁচটি ও আবু রায়হানের দুটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও এখনো চোর শনাক্ত হয়নি। সেচ পাম্পের কাজে ব্যবহৃত ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মোহাম্মদ আলীর সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমারটি বিদ্যুতের খুঁটিতে নেই। পাশের বহুমুখী সেচ প্রকল্পের ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে দুর্বৃত্তরা ব্যর্থ হলেও তার পাম্পের ট্রান্সফরমারটি নির্বিঘেœই চুরি করে নিয়ে যায় তারা।
ভুক্তভোগী ওই কৃষক বলেন, সকালে মাঠে এসে দেখি বিদ্যুতের খুঁটিতে ট্রান্সফরমারই নেই। তিনি আরো বলেন, বিগত এক বছরের মধ্যে দুইবার তার পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। একটি ট্রান্সফরমারের দামসহ অফিসে খরচ হয় প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। তাই চুরির আতঙ্কে রাতে ঘুম হয় না।
শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ডিজিএম) রথিন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি করছে। চক্রটির কাছে পল্লী বিদ্যুৎ ও কৃষক অসহায় হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এই ট্রান্সফরমার চুরির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।