১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত পোরশার কারিগররা

নৌকা তৈরি করছেন কারিগররা : নয়া দিগন্ত -

নওগাঁর পোরশার সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিঙি নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পোরশার কারিগররা। নদীতে নতুন পানি আসায় এলাকার জেলেসহ বাসিন্দারা নতুন নৌকা তৈরি এবং পুরনো নৌকা মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ নদীকে ঘিরে যারা জেলে পেশায় রয়েছেন, তারা এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ কারণে উপজেলার নিতপুরে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। আর নদীর আশপাশের এলাকার কেউ কেউ পুরনো নৌকায় লাগাচ্ছেন আলকাতরা আবার কেউ বা দিচ্ছেন জোড়াতালি। কেউবা নতুন নৌকা তৈরিতে মিস্ত্রিদের দিচ্ছেন তাগাদা। সব মিলিয়ে নৌকা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোরশা উপজেলায় বর্ষাকালে পুনর্ভবা নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করে থাকেন। তাই এ সময় ব্যাপকভাবে নৌকার প্রয়োজন দেখা দেয়।
উপজেলার নিতপুর সদরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের পাশে নতুন নৌকা তৈরি এবং মেরামতের কাজ করছেন কারিগররা। নৌকার কারিগর গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা গ্রামের কালো মিস্ত্রি জানান, তারা পোরশা উপজেলায় এসে নৌকা তৈরি করেন। সাধারণত নৌকা তৈরিতে কড়ই ও মেহগনি কাঠ বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে ডিঙি নৌকায় কেউ কেউ কাঁঠাল কাঠও ব্যবহার করে থাকেন। এসব নৌকা তৈরিতে তারকাঁটা, আলকাতরা, টিনের পাত ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ৫-৬ জন শ্রমিক মিলে একদিনে একটি ডিঙি নৌকা তৈরি করা যায় বলে তিনি জানান। মালিক নিজে কারিগর দিয়ে নৌকা তৈরি করে নিলে খরচ বেশি এবং টেকসই হয়। আর অর্ডার দিয়ে দাম একটু কম হয় এবং টেকসইও কম হয়।
অপর মিস্ত্রি রবিউল ইসলাম জানান, ৯ থেকে ১০ এবং ১৪ হাত পর্যন্ত লম্বা ডিঙি তৈরি করছেন তারা। আর রকমভেদে এসব নৌকার দাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তিনি জানান, পুনর্ভবা ছোট নদী হওয়ায় শুধু মাছ ধরার জন্য ডিঙি নৌকার অর্ডার বেশি পাওয়া যায়। তবে দু-একটি বড় নৌকার অর্ডারও হয়। তারা বছরে ৩ মাস নৌকা তৈরি করেন বলে জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement