১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ বিপাকে ৩ শতাধিক কৃষক পরিবার

প্রশাসনের সহায়তা কামনায় মানববন্ধন
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কৃষকরা : নয়া দিগন্ত -

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে কৃষিকাজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ওই ইউনিয়নের তিন শতাধিক কৃষক পরিবার। গত দুই দিনে মুষলধারার বৃষ্টিতে তিন গ্রামের ৭০০ একর আবাদি কৃষি জমিতে ৩ ফুট পানি জমে রয়েছে। খালে বাঁধ দেয়ার কারণে জমানো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষি কাজ নিয়ে দুর্ভিষহ অবস্থায় রয়েছে কৃষক পরিবারগুলো। স্থানীয়দের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনে কোনো প্রতিকার না পেয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন করেছেন দুই শতাধিক কৃষক। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজসহ তিনটি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি মণ্ডল সøুইচ খালের সাথে সংযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে ওই খালে প্রভাবশালী একটি মহল ১০-১২টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। যার ফলে ওই গ্রামের প্রায় ৭০০ একর আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্ধ রয়েছে চাষাবাদ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি তাদের স্বার্থে উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের প্রধান খালে ১২টির মতো বাঁধ দিয়ে কৃষকের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে। এখন জমিতে ৩-৪ ফুট পানি জমে আছে। ৩০০ কৃষকের অন্তত ৭০০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ। এর দ্রুত সমাধান চাই প্রশাসনের কাছে। তা না হলে আমাদের প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধান ও ফসল চাষাবাদ করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এমন অবস্থায় খালটি হতে অবৈধ দখলধারদের বাঁধ অপসারণ করে কৃষকদের মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান জানান, কৃষকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে খালটিতে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে। ফলে পার্শ¦বর্তী গ্রামের কয়েকটি মাঠের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল সংলগ্ন প্রায় ৬৫০-৭০০ একর জমিতে পানি জমে রয়েছে। এতে আমনসহ পরবর্তী মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হতে পারে। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা ৫০টির বেশি অবৈধ বাঁধ কেটে দিয়েছি। এ ধরনের অবৈধ বাঁধের ব্যাপারে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খালের বাঁধ অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement