তাহিরপুরে পানি নিষ্কাশনের পথে ইট-পাথরের বাঁধ
- মেহেদী হাসান ভূঁইয়া তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও পথ ইট-পাথর দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ায় ৫০টি পরিবারের তিন শতাধিক মানুষ গত দুই বছর ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ছাড়া প্রায় ১০০ কিয়ার (৩০ শতাংশে এক কিয়ার) জমি অনাবাদি থাকছে। বৃষ্টির সময় অতিরিক্ত পানি জমে বাদাঘাট থেকে ঘাগড়া সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিন স্থানে ভেঙে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। আর পানি নিষ্কাশনের পথে ইট-পাথর দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আমির হোসেন নামে এক প্রভাবশালী যুবকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিনের কাছে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুক্তভোগী ৫০টি পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় জমে থাকা বর্ষার পানি গ্রামের খড়, বাড়ি-ঘরের আঙিনা এমনকি অনেক বাড়িঘরের ভিতরে পানি উঠে যাওয়ায় অনেকেই রান্না করতেও পারছে না। ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আব্দুল করিম বলেন, আমির হোসেন প্রভাবশালী মানুষ। প্রতিবাদ করায় আমির গত বছর আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে।
ঘাগড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন মল্লিক বলেন, গত দুই বছর আগে আমির এই জায়গা কিনে ইট-পাথর দিয়ে পানি যাওয়ার রাস্তায় স্থায়ীভাবে বাঁধ দেয়ায় গত দুই বছর ধরে এখানে বসবাসকারী ৫০টি পরিবারের প্রায় ৩০০ মানুষ পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন বলেন, গ্রামবাসী পানি নিষ্কাশনের জন্য আমার কাছে একটি আবেদন নিয়ে আসছিল। আমি এর আগেও বাঁধ ভেঙে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। এখন যদি আবার ওই স্থানে বাঁধ দিয়ে থাকে তাহলে সরেজমিনে দেখে অতিদ্রুতই পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধ অপসারণ করে দিয়ে আসবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা