উদ্বোধনের দেড় বছরেও অব্যবহৃত কুবির ডরমিটরি-গেস্ট হাউজ
- কুবি সংবাদদাতা
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:৩২
- গেস্ট হাউজে থাকছেন আনসার সদস্যরা, গেস্টরা থাকছেন বাইরে
- ধুলাবালু ও পোকামাকড়ে আসবাবপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ৮ কোটি ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে শিক্ষক ডরমিটরি ও গেস্ট হাউজ উদ্বোধনের প্রায় দেড় বছর পার হলেও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবকে দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডরমিটরি ও গেস্ট হাউজ উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। এতে ৩৯ সিটের বিপরীতে ১০ জন শিক্ষক আবেদন করলেও বর্তমানে ৫ জন নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্য দিকে নবনির্মিত গেস্ট হাউজটিও রয়েছে অব্যবহৃত অবস্থায়।
ডরমিটরিতে না থাকতে চাওয়া কয়েকজন শিক্ষক জানান, নতুন ডরমিটরিটি আউটসাইডে হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। এ ছাড়াও ডর্মে ব্যক্তিগতভাবে রান্না করার সুযোগ নেই। এলাকাটিতে সাপের উপদ্রব ছাড়াও ভাড়ার পরিমাণও তুলনামূলক বেশি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডরমিটরিতে আবেদনকারীদের মধ্যে তিনজন শিক্ষক বিছানাপত্র নিয়ে উঠলেও রাতযাপন করছেন না কেউ। আর গেস্ট হাউজটিতে অবৈধভাবে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন আনসার সদস্য। এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সহকারী রেজিস্ট্রার ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, আনসারদের আবাসন সঙ্কট থাকায় মৌখিক নির্দেশনায় গেস্ট হাউজে থাকছেন।
আরো দেখা যায়, ধুলাবালু ও পোকামাকড়ের আক্রমণ এবং কিছু রুমে পাইপের পানি প্রবেশ করে কয়েকটি আলমারিতে পচন ধরে নষ্ট হওয়ার পথে প্রায় অর্ধকোটি টাকার আসবাবপত্র।
এ দিকে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ২৬৫ জন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৩০৮ জন। যাদের জন্য রয়েছে মাত্র দু’টি ডরমিটরি। একটিতে থাকছেন ২৮ জন শিক্ষক ও অন্যটিতে থাকছেন ১০ জন কর্মকর্তা। কিন্তু কর্মচারীদের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষকদের নতুন ডরমিটরিতে স্থানান্তরিত করে পুরাতন ডরমিটরিতে কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা করবেন।
এ ছাড়াও গেস্ট হাউজের নির্মাণকাজ দেড়বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয় ৬ বছর পর। এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট সহযোগী অধ্যাপক আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র সমীক্ষণ ও বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক কাজে প্রতিদিনই গেস্টরা আসেন। কিন্তু তাদের আবাসন নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের বেগ পোহাতে হয়।
এসব বিষয়ে এস্টেট শাখার পরিচালক ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান জানান, গেস্ট হাউজ শিগগিরই ব্যবহার উপযোগী করে চালু করা হবে। ডরমিটরির বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে ভাড়া নির্ধারণ করেছি। তারপরও যদি ওনারা আবেদনই না করেন তাহলে আমরা কাদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব?
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নয়া দিগন্তকে বলেন, শিক্ষকদের নতুন ডরমিটরি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রায় দ্ইু কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে চলতি অর্থবছরে অর্ধেক বরাদ্দ পেয়েছি। শিগগিরই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এ ছাড়া ভিসির সাথে কথা বলে দ্রুত গেস্ট হাউজ ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা