১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৯ প্রাণহানির পর টনক নড়েছে উপজেলা প্রশাসনের

-

নয়জনের প্রাণহানির পরে টনক নড়েছে আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার ২০টি অতি ঝুঁকিপুর্ণ সেতুতে সতর্কীকরণ নোটিশ বোর্ড ও বেড়া দিয়েছেন। ভেঙে যাওয়া হলদিয়া হাট সেতুতেও নতুন করে নোটিশ ও বেড়া দিয়েছেন।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ২০০৭-০৮ অর্থ বছরের পরে ২০টি লোহার সেতু নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর। ওই সেতুগুলোতে রেলপাটির ভিম বসানোর কথা থাকলেও ঠিকাদাররা সাধারণ ভিম বসিয়ে সেতু নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সেতুগুলোর ঠিকাদার ছিলেন সাবেক হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধাসহ বেশ কয়েকজন। ওই সময় তারা প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা সেতু নির্মাণ করে টাকা তুলে নেয়। অল্প দিনের মধ্যেই সেতুগুলোর লোহার ভিম অকেজো হয়ে যাওয়ায় সেতুগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। গত ১৬ বছরে সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হলেও উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসেনি।
গত শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে চাওড়া নদীর ওপর নির্মিত হলদিয়া হাট সেতুর মাঝখান ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে তলিয়ে যায়। এতে কনে মরিয়ম বিল্লাহ হুমায়রার মামাবাড়ির সাতজন ও বাবার বাড়ির দুইজনের মৃত্যু হয়।
কাউনিয়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন জুয়েল, নজরুল ইসলাম ও দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের নাশির উদ্দিন বলেন, নয়টি প্রাণহানির পরে টনক নড়েছে প্রশাসনের। সেতুর মধ্যখানে পিলার গেড়ে দেয়া হয়েছে। এ পিলারটি আগে গেড়ে দিলে এতগুলো প্রাণ ঝড়ে যেতো না।
প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার ২০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে সতর্কীকরণ নোটিশ ও বেড়া দেয়া হয়েছে। আগে কেন নোটিশ দেননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেই নোটিশ টানিয়েছিলাম কিন্তু স্থানীয়রা সরিয়ে ফেলেছেন।
বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি স্থায়ীভাবে বেরিকেট দেয়ার, যাতে ভারী যানবাহন সেতুতে না উঠতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement