০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

মিরসরাইয়ের সব ঝরনায় পর্যটকদের ঢল

-

প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ঝরনা দেখতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ঈদের দিন দুপুরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে উপজেলার খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া, রূপসী, বোয়ালীয়া ও বাওয়াছড়া ঝরনায় দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন লোকজন। ঈদের ছুটি পেয়ে বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর থাকা ঝরনায় গা ভেজানো মিস করছেন না ভ্রমণপিপাসুরা।
গত বুধবার ঈদের তৃতীয় দিন সকাল থেকে ঝরনার রাস্তাগুলোতে যেন মানুষের মিছিল চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও লেগুনা। কেউ কেউ গাড়ি ভাড়া করে আবার অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এখানে এসেছেন। আবার দল বেঁধে বিভিন্ন বাসযোগে এসেছেন অনেক পর্যটক। ঝরনার প্রবেশ মুখগুলো কানায় কানায় ভর্তি। বেশি পর্যটক চোখে পড়েছে খৈয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া ও রূপসী ঝরনায়।

ঢাকা থেকে খইয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসা আব্দুল মমিন রাজু, শাফাত ইসলাম নামের দুই পর্যটক বলেন, আমরা ২০ জন বন্ধুবান্ধব খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে এসেছি বৃষ্টিতে ঝরনায় যাওয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সাবধানতার সাথে আমরা ঘুরেছি।
চট্টগ্রাম থেকে নাপিত্তাছড়া ঝরনায় ঘুরতে আসা মিল্টন সাহা বলেন, মিরসরাইয়ের সব ঝরনা মোটামুটি দেখা হয়ে গেছে। এবার ঈদের ছুটিতে নাপিত্তাছড়া ঝরনায় ঘুরতে আসলাম। আমরা চট্টগ্রাম থেকে একটি বাস ভাড়া করে ৩০ জন এসেছি। সবাই খুব ইনজয় করেছে।
রূপসী ঝরনায় ঘুরতে আসা স্কুল শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, রূপসী ঝরনার কথা অনেক শুনেছি। এখানকার ঝরনাগুলোর মধ্যে যাতায়াতে সহজ পথ এটি। ৮ জন বন্ধু সারাদিন আনন্দ করেছি।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, বৃষ্টিতে ঝরনায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় পর্যটক বাড়ে। তার মধ্যে ঈদের ছুটি থাকায় এবার আরো বেড়েছে। পর্যটকদের সতর্কতার সাথে আসা-যাওয়া করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইজারাদারদের নির্দেশনা দেয়া আছে, যাতে গাইড ছাড়া কেউ ঝরনায় যেতে না পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement