হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরগাছ
- দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
পটুয়াখালীর দশমিনার গ্রামাঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির খেজুর গাছসহ গ্রাম বাংলার দেশী খেজুর কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। শীতকালে গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার এবং বাড়তি আয়ের অন্যতম উপাদান হিসাবে খেজুরের রস ছিল প্রধান আকর্ষণ। সারি সারি রসের হাড়ি দেখে সাধারণ মানুষ আনন্দে পুলকিত হতো। আর গ্রীম্মকালে দেশী প্রজাতির পাঁকা খেজুর সাধারন মানুষসহ পাখিরা খেয়ে আনন্দ পেত। কালের বিবর্তনে সেই দৃশ্য ও সেই আনন্দ উৎসব এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের পায়ে চলা পথ কিংবা কাঁচা রাস্তার দু’ধারে সারি সারি খেজুরগাছ এখন আর নেই। আবাদি কিংবা অনাবাদি জমি ও বসতঘরের আশপাশেও খেজুরগাছ চোখে পড়ে না। অনেকে গাছ কেটে জ¦ালানি হিসেবে বা টাকার জন্য অল্প দামে বিক্রি করে দিয়েছে।
বাণিজ্যিকভাবেও কেউ আর খেজুর গাছ রোপণ করছে না। এই গাছ রাস্তা, বসতঘর, আবাদি কিংবা অনাবাদি জমির আশপাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মাতো আগে। প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে গ্রামাঞ্চলে সারি সারি খেজুর গাছ ছিল। গ্রামের গাছিরা কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের ভোরে খেজুরের রস সংগ্রহে নেমে পড়ত। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না।
দশমিনায় প্রতি বছর শীতের আমেজ শুরু হওয়ার সাথে সাথে খেজুরগাছ কাটতে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ত। গাছ কমে যাওয়ায় এখন গাছিদের ব্যস্ততা নেই। শীতের সকালে গাছিদের রস সংগ্রহের দৃশ্যও চোখে পড়ে না। ঘন কুয়াশার ভেতর খেজুর রসের মন মাতানো ঘ্রান যেন হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। মুখরোচক খেজুরের রস ও খেজুরসহ দেশী প্রজাতির খেজুরগাছ সময়ের বিবর্তনে বিলুপ্ত পথে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পরিবেশবান্ধব এই গাছ বেশি করে রোপণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা