রায়গঞ্জে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি
- রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রঙ-বেরঙের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বাড়ি তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের বেতুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইসরাফ্রিল। পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিকের বোতলে বালু ভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাড়িটি তৈরি করেন তিনি। স্থানীয়দের কাছে ওই বাড়িটি বোতল বাড়ি নামে পরিচিতি পেয়েছে। দুই কক্ষের বাড়িটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হতে শুরু করেছে।
ইসরাফ্রিল জানান, স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার তাদের। হাঁস লালন-পালন করে জীবন চলে। ছেলেমেয়েরা মাদরাসায় লেখাপড়া করে। বোতলের বাড়ি নির্মাণের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রথমে তিনি ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখে এ ধরনের বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেন। এরপর বিভিন্ন ভাঙ্গারি দোকান থেকে কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের খালি ১০ মণ বোতল সংগ্রহ করেন। প্রতি কেজি বোতল তিনি ৪০ টাকা দরে কিনেন। এতে তার খরচ হয় ১৬ হাজার টাকা। এরপর হাত দেন বাড়ি তৈরির কাজে।
বাড়িটির দৈর্ঘ্য ২২ হাত, প্রস্থ সাড়ে ১২ হাত। বাড়ি তৈরির শুরুতে প্রাথমিকভাবে ইট দিয়ে কলাম তৈরি করেন। এরপর প্লাস্টিকের বোতলগুলোর ভেতর বালু ও মাটি ভরে সেই বোতল সিমেন্ট দিয়ে গেঁথে গেঁথে দেয়াল গাঁথেন। বাড়ির দেয়াল সবেমাত্র গাঁথা হয়েছে। এখনো ওপরে চালা দেয়া হয়নি। ইসরাফ্রিল জানান, তিনি ওপরে টিনের চালা দিবেন।
ইসরাফ্রিল আরো জানান, বাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে তার তিন মাস। আর ইট, সিমেন্ট, বালু, বোতল, রাজমিস্ত্রির বেতন সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো। তিনি জানান, শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে তার খরচ আরো বেশি, প্রায় তিন লাখ টাকা লেগে যেত।
রাজমিস্ত্রী শফিক মোল্লা জানান, ইসরাফ্রিলের ইচ্ছের কথা শুনে আমিও কৌতূহলি হই এবং আগ্রহ নিয়ে কাজ করতে থাকি। ইতোমধ্যে বাড়ির কাজের দেয়ালের গাঁথুনির কাজ শেষ হয়েছে। গাঁথুনিও বেশ মজবুত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাড়ির তেমন ক্ষতি হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমি আরো মনে করি বাড়িতে শীতের গরম এবং গরমে সময় ঠাণ্ডা অনুভূত হবে। ফলে বাড়িটি বসবাসের জন্য বেশ উপযোগী বলেই মনে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা