কমলনগরে কৃষকের মুখে সোনালি হাসি
- মিজানুর রহমান মানিক কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
- ১৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
চলতি রবিশস্য মওসুমের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সয়াবিন আবাদের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে সোনালি হাসি দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় না থেকে কৃষকরা তাদের ফসলি জমি থেকে সয়াবিন কেটে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন।
সয়াল্যান্ডের রাজধানী হিসেবে খ্যাত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা। এ উপজেলার কৃষকদের মুখে এখন আনন্দের হাসি। কৃষক পরিবারে এখন পুরোদমে ফসল কাটার ধুম চলছে।
কমলনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এখানের ৯টি ইউনিয়নে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে সয়াবিনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এতে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড়ে ফলন হয়েছে ২.৫ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। সয়াবিনের প্রতি মণ (৪০ কেজি) দরে স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার টাকা করে বিক্রয় মূল্য হবে আনুমানিক দুই কোটি টাকা।
চরঠিকা গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক বেপারী জানান, এ বছর তার দুই একর ৫০ শতক জমিতে সয়াবিনের চাষাবাদ হয়। তিনি ফসলি রোগবালাই ছাড়া ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের লোকসান কাটিয়ে এবার ভালো লাভবান হয়েছেন।
হাজিরহাট এলাকার কৃষক মোশারেফ হোসেন, আবদুল মালেকসহ কয়েকজন কৃষক জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সয়াবিন ফসল বুনন ও সংগ্রহ করে ভালো লাভবান হচ্ছেন। মওসুমের শুরুতেই ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে সয়াবিন ৩ হাজার টাকা করে মণপ্রতি বিক্রি চলছে। এতে কৃষক তাদের আবাদ খরচ মিটিয়ে লাভবান হচ্ছেন।
সূত্র আরো জানায়, চলতি বছরে আবাদকৃত সয়াবিন ফসলের জাত ছিল ‘বারি সয়াবিন-৫, বারি সয়াবিন-৬, বিনা সয়াবিন-৩, বিনা সয়াবিন-৫, বিইউ সয়াবিন-২, বিইউ সয়াবিন-৪ ও সোহাগ সয়াবিন উল্লেখযোগ্য। সয়াবিন বপনের উপযুক্ত সময় মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত। এর জীবনকাল প্রায় ৯০-১০০ দিন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মধ্য এপ্রিল থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সয়াবিন সংগ্রহ করা সম্ভব। চলতি বছরে সয়াবিন মাড়াই মেশিন ‘পাওয়ার থ্রেসার’ না পাওয়ায় কৃষকদের খরচ বেশি হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন রানা বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাওয়ার থ্রেসার পাওয়া যায়নি। সরকারিভাবে সরবরাহকৃত প্রায় শতভাগ অঙ্কুরোধগম ক্ষমতাসম্পন্ন বীজ ব্যবহার করেছেন কৃষকরা। এতে ফলন বেশি হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা