১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভ্রাম্যমাণ ধান ভাঙার মেশিন

-

নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমাণ ধান ভাঙার মেশিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে গ্রাম বাংলার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন মেশিনের মালিকরা।
জেলা সদর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ধান ভাঙার মেশিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রায় প্রতি দিনই ধান ভাঙার মেশিন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙিয়ে আসছে। এতে প্রতি মণ ধান ভাঙানোর জন্য ৯০ টাকা করে নিচ্ছেন। এ দিকে রাইস মিলে প্রতি মণ ধান ভাঙানো নিচ্ছে ৬০ টাকা করে। ভ্রাম্যমাণ মেশিনে প্রতি মণ ধান ভাঙানো ৩০ টাকা বেশি হলেও গ্রাহকদের সুবিধা বেশি।
বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের মহিন উদ্দিন জানান, অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না রাইস মিলে গিয়ে সিরিয়ালে বসে থাকতে হয়। এ ছাড়া যাতায়াত বদলা খরচসহ প্রতি মণ ধান ভাঙতে প্রায় ২০০ টাকার মতো খরচ আসে। আর ডিজেল চালিত ভ্রাম্যমাণ ধান ভাঙার মেশিনে বদলা, যাতায়াত খরচ লাগে না, বিদ্যুতের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষারও প্রয়োজন হয় না।
জানা গেছে, পাওয়ার টিলারের সাথে রাইসের হোলার যুক্ত করে ধান ভাঙা মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। আবার বোরো ধান রোপণের সময় রাইস হোলার খুলে নাঙল ফিটিং করে হাল চাষ করা হয়। আবার শুকনো মৌসুমে নাঙ্গল খুলে পাইপ যুক্ত করে পানি সেচ দেয়া হয়। অর্থাৎ এ পাওয়ার টিলার দিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো বছর রোজগার করা যায়।
পাওয়ার টিলার মালিক বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারীশপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেন জানান, পাওয়ার টিলার দিয়ে পুরো বছর কাজ করা যায়। তিনি আরো বলেন, প্রতি দিন প্রায় ৮০-৯০ মণ ধান ভাঙানো যায়। কখনো নিজে আবার কখনো কর্মচারী দিয়ে ধান ভাঙা, হাল চাষ ও পানি সেচ করে অনেকটা স্বাবলম্বী হচ্ছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement