তীব্র গরমে খামারে মরছে মুরগি লোকসানে খামারিরা
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৭:২৯
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তীব্র গরমে ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি খামারে মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন খামারিরা।
খামারিরা জানান, খামার ঘরের চালা সাধারণত টিনের হয়ে থাকে। সেই টিনের ওপর এসে পড়ে রোদের তাপ। সম্প্রতি তাপপ্রবাহ ও গুমট আবহওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে। খামারিরা দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার মুরগির শরীরে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছে না। গরমে ছটফট করছে মুরগিগুলো। কোনো কোনোটি স্ট্রোক করছে।
সরেজমিনে উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের চরৎ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় শতাধিক ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে। খামারে মুরগি পরিচর্যায় ব্যস্ত এক কর্মী জানান, দিনে কয়েকবার মুরগির শরীরে পানি ¯েপ্র করতে হয়। খামারের ভেতরটা ঠাণ্ডা রাখতে চলছে বৈদ্যুতিক ফ্যান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মিরসরাইয়ে মুরগির খামার রয়েছে ৯২০টি। তার মধ্যে শুধু ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে ৮৫০টি। আর বাকিগুলো লেয়ার মুরগির খামার। প্রচণ্ড গরমে এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মুরগি মারা গেছে তার তথ্য মিরসরাইয়ের প্রাণিসম্পদ বিভাগের কাছে নেই।
উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের শেখের তালুক গ্রামের খামারি বাবু জানান, তার খামারে প্রতি দিনই মুরগি মারা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার তার খামারে ৩০টি মুরগি মারা গেছে। প্রতি দিনই গরমে তার খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। এভাবে মুরগি মারা গেলে তিনি বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানান।
খামারের শ্রমিক শুভঙ্কর দাস জানান, ফ্যানের বাতাসেও ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায় না। প্রতি দিন কয়েকবার করে মুরগির গায়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। তাদের খামারে দুই হাজার মুরগি রয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবারও ৩০টি মুরগি মারা গেছে তাদের খামারে।
ইছাখালী ইউনিয়নের চরৎ গ্রামের ব্রয়লার মুরগির খামারের মালিক বিপ্লব দাস বলেন, গরম শুরুর পর থেকে মুরগিকে ওষুধ ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের এখানে শতাধিক খামার থাকা সত্ত্বেও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো লোক পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ফরিদ বলেন, খামার ঘরে টিনের চালের ওপর চটের বস্তা ভিজিয়ে রাখলে ঘরটিকে কিছুটা ঠাণ্ডা রাখা যায়। সেই সাথে মুরগির শরীরে পানি ছিটানো এবং মুরগিকে স্যালাইনসহ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি দিতে হবে। সেই সাথে দুপুরে যখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তখন মুরগিকে খাবার দেয়া বন্ধ রাখতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা