কলাপাড়ায় তিন ভাগে বিভক্ত আ’লীগ
নতুনের দিকে ঝোঁক নবীন ভোটারদের- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০১ জুন ২০২৪, ০০:০০
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্থানীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী হলেন- যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আল সাইফুল সোহাগ (আনারস), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার (ঘোড়া), জেলা কৃষক লীগ নেতা ও সাবেক টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আকতারুজ্জামান কোক্কা (দোয়াতকলম)। তিনজনই ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
ভোটরদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অ্যাডভোকেট শামীম আল সাইফুল সোহাগ বয়সে তরুণ। নতুন মুখ হিসেবে তরুণ ভোটাররা তার পক্ষে। আওয়ামী লীগের বাইরের ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে তিনি ব্যাপক চেষ্টা করছেন। প্রচার-প্রচারণায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারও কম এগিয়ে নেই। দলীয়সহ স্থানীয় প্রভাব রয়েছে তার। দলীয় সমর্থন পাওয়ায় প্রচারে বেগ পেতে হচ্ছে না তাকে। তবে দলীয় সমর্থন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না সৈয়দ আকতারুজ্জামান কোক্কা। তার ভয় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে।
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো: ইউসুফ আলী (চশমা), সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল (টিউবওয়েল) ও উপজেলা কৃষকলীগের নেতা মো: ইব্রাহীম খলিল (বই)।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুন নাহার মলি (কলস), উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহিনা পারিভিন সীমা (সেলাই মেশিন), মোসা: রাশেদা বেগম (ফুটবল), মোসাম্মাৎ লাইজু হেলেন লাকি (হাঁস)।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভার ভোট সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪৩, মহিলা ভোটার ৯৯ হাজার ১৪৯। আগামী ৫ জুন এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে একটি মানদণ্ডে দাঁড় করানোর জন্য অবাধ, সুষ্ঠু, শতভাগ নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। আশা করি এবারে আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব।