মরিচ চাষে জনপ্রিয় হচ্ছে মালচিং পদ্ধতি
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
দেশে কৃষিতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতি। বাণিজ্যিকভাবেও এর প্রসার ঘটছে। পঞ্চগড়ে অন্যান্য ফসলের সাথে মরিচ চাষেও যুক্ত হয়েছে মালচিং পদ্ধতি। দীর্ঘ সময় ফলন এবং বাজারে সারা বছর চাহিদা থাকায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার অনেকেই এখন এই পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করছেন। মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে খরচ অনেক কম। দফায় দফায় সার দেয়ারও ঝামেলা নেই। গাছ দীর্ঘজীবী হওয়ায় উৎপাদন হয় দীর্ঘসময় ধরে। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করে আশানুরূপ লাভবান হন তিনি।
সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম-শার্প’র কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব-উল সহিদ বলেন, এ পদ্ধতিতে জমি তৈরির জন্য মাঝখানে দুই পাশ থেকে কেটে দেড় ফুট চওড়া করে ও ৮-১২ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু করে মাটির সাথে সার মিশিয়ে বেড তৈরি করে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। পেপারের কালো রঙের দিকটা থাকে নিচের দিকে আর রূপালি রঙের দিকটা থাকে সূর্যের দিকে। পরে মালচিং পেপারের দুই পাশে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল গোল করে কেটে নেয়া হয়। এরপর কেটে নেয়া জায়গায় রোপণ করা হয় বীজ বা চারা। এরপর তিন ফুট উঁচুতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি করা হয় মাচা। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে দীর্ঘ সময় ধরে ফলন পাওয়া যায় এবং কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।
উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মাহাবুল ইসলাম বলেন, এবার আমি মালচিং পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। পিকেএসএফের অর্থায়নে এবং শার্প’র সার্বিক সহযোগিতায় এ পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে দেবীগঞ্জের অনেক কৃষক লাভের মুখ দেখছেন।