গোয়ালন্দে একের পর এক মারা যাচ্ছে গরু
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ২৭ মে ২০২৪, ০০:০৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)। উজানচর ও দৌলতদিয়ার দুর্গম চরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে আটটি গরু মারা গেছে এবং অনেকের গরু আক্রান্ত হয়েছে। সচেতনতার অভাবে মরা গরু মাটিতে পুঁতে না ফেলে যত্রতত্র খোলা মাঠে ফেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগের ভাইরাস। এ সুযোগে তথাকথিত হাতুড়ে পল্লী ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে খামারিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কিছুই জানেন না। এতে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কৃষক ও খামারিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় গরু মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে, খাবার খায় না। নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর সামনের দুই পায়ের মাঝে বুকের নিচে পানি জমে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি হয়ে কয়েক দিনের মধ্যে ঘা হয়ে পচন ধরে। আস্তে আস্ত গরুর পুরা শরীরে ঘা ছড়িয়ে পড়ে।
এ রোগে দৌলতদিয়ার ৯ নং ওয়ার্ডের পরশ উল্লাহ পাড়ার আব্বাস মোল্লার একটি, সিরাজ খাঁ পাড়ার নিজাম শেখের একটি, আজিজ মৃধা পাড়ার আবজাল মোল্লার একটি, উজানচর ইউনিয়নের লুৎফর সওদাগরের পাড়া মঞ্জু সওদাগরের একটি, মোসলেম সওদাগরের একটি, ফজলু শেখের একটি, চর করনেশন আব্দুর রহিমের একটি, মালেক শেখের একটি গরু মারা গেছে। মারা যাওয়া প্রায়ই বাছুর গরু।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা এলএসডি রোগে স্থানীয়দের সতর্ক করার লক্ষ্যে গত শুক্রবার দুপুরে সৌদিপ্রবাসী নজরুল ইসলাম মোল্লার উদ্যোগে চর দৌলতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রাশেদুজ্জামান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: সরোয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক হাবিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম ফারাবী, মেহেদুল হাসান আক্কাছসহ দুই শতাধিক গরু মালিক ও খামারিরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা