১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
গো-খাদ্যের দামে নাজেহাল খামারিরা

মিরসরাইয়ে কোরবানির জন্য ৫০ হাজার পশু প্রস্তুত

-

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে প্রায় অর্ধলাখ পশু প্রস্তুত করেছেন এখানকার খামারিরা। এবার উপজেলায় কুরবানির পশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় আট শতাধিক ছোট-বড় খামারে এসব গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে গেল বছরের তুলনায় এ বছর ১০ হাজার পশু কম রয়েছে। এদিকে গো-খাদ্যের চড়া দাম আর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে গড়া খামার মালিকরা বলছেন, উপযুক্ত দাম না পেলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে তাদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ জানায়, খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ৫০ হাজার ৭৩৯টি পশু প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৪১৩টি ষাঁড় ও বলদ, ১৪ হাজার ১৫২টি গাভি, চার হাজার ৬১১টি মহিষ, ৯ হাজার ৫৬৩৫টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। দেশে গত তিন বছর ভারত থেকে পশু কম আমদানি করায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল বেশি।
উপজেলার ৩১টি স্থায়ী-অস্থায়ী হাটে গবাদিপশু বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে মিরসরাই বাজার, বড় তাকিয়া, মিঠাছরা, জোরারগঞ্জ, বারইয়ারহাট, আবুতোরাব গরুর বাজারগুলো বড়। এসব বাজারে বেপারিরা এসে গরু ক্রয় করে ফেনী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রয় করেন। বর্তমানে এ উপজেলার প্রায় তিন হাজার মানুষ (খামারি, কৃষক ও বেপারিরা) এ পেশায় রয়েছে। আকার ভেদে গত বছর প্রতিটি গরু ৭০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় কহয় এখানকার খামারি ও কৃষকদের পশু।
নাহার এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক তানজিব জাওয়াদ রহমান বলেন, খামারে ৫ শতাধিক গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। আমরা গরু বিক্রি শুরু করেছি। অনলাইনেও অনেকে বুকিং দিচ্ছে।
হেলদি ক্যাটেল খামারের স্বত্বাধিকারী রিয়াজ বিন আলী বলেন, এবার কোরবানীর জন্য ১৫টি গরু মোটাতাজা করেছি। দুই লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০১৭-২০১৮ সালে প্রতিটি গরুতে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়তো। আর এখন খরচ পড়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
ওয়াহেদপুর এলাকার প্রান্তিক খামারি জসীম উদ্দিন বলেন, এবার কুরবানির জন্য আমি পাঁচটি গরু মোটাতাজা করেছি। তবে কয়েক দফায় গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উপযুক্ত দাম নিয়ে শংকায় রয়েছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, উপজেলায় এবার কুরবানির জন্য ৫০ হাজার ৭৩৯টি পশু মজুত রয়েছে। উপজেলায় ৪৫ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এসব কুরবানির পশু উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ হাসিনার বিবৃতিকে ভারত সমর্থন করে না : বিক্রম মিশ্রি ডুয়েটে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণে সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি চলাচল স্বাভাবিক মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন, যেসব বিষয়ে আলোচনা হবে ট্রাইব্যুনালে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কংগ্রেসে সমালোচকদের সম্মুখীন ব্লিংকেন

সকল