লোহাগাড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি আবার শুরু : হতাশ এলাকাবাসী
ডলু ও সরাইখালের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো মরুভূমি হওয়ার উপক্রম- সেলিম উদ্দিন লামা (বান্দরবান)
- ২৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
লোহাগাড়ায় বিগত ১০ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুর গাড়ি থেকে টোলের নামে চাঁদাবাজি করে দৈনিক ৩-৪ লাখ টাকা আয় করে যাচ্ছিল শ্রমিকলীগ নেতা নুরুল হক নুনু। দরবেশ হাট ডিসি সড়কের পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ও চুনতি চাম্বি লেকের পাশে অফিস স্থাপন করে বালুর গাড়ি থেকে রশিদ দিয়ে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে চাঁদাবাজি চলছিল। নুনু সাবেক এমপি আবু রেজা নদভীর কাছের লোক ছিলেন।
বিগত সংসদ নির্বাচনে নদভীর পরাজয়ের পর বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবের নির্দেশে অবৈধ বালু উত্তোলনসহ চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। প্রশংসায় ভাসছিলেন তিনি। কারণ বালু উত্তোলনের কারণে ডলু ও সরাইখালের পার্শ্ববর্তী চুনতি ও পুটিবিলার কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কোনো ফসল হয় না ওই সব জমিতে।
কিন্তু বিগত ২ মাস থেকে আবার একইভাবে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। আর সেই থেকে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি যুবলীগ নেতা মোরশেদ আলম চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণে। আগামী উপজেলা নির্বাচনে মোরশেদের ভাই খোরশেদ আলম চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এলাকাবাসীর ধারণা আপাতত মোরশেদ বিতর্কিত হতে চাচ্ছেন না। তাই নুনুকে দিয়ে চাদাবাজি করাচ্ছেন।
লোহাগাড়ার ঢলু, সরই, চান্দা, সড়াইয়াসহ বেশ কয়েকটি খাল থেকে সারা বছর বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন ১-২ মাসে একবার অভিযান চালিয়ে বালু জব্দ করে। নদভী এমপি থাকাবস্থায় জব্দকৃত বালু ইজারা নিতেন নুরুল হক নুনু। বর্তমানে নিয়েছেন মোরশেদ। ইজারার নামে প্রতিটি বালুর ট্রাক থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা ও ডাম্পার থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হাসান মোবাইলফোনে বলেন, আমাদের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এলাকাবাসী বালু উত্তোলনকারীদের ধরে আমাদের হাতে তুলে দিলে আমরা সহজে ব্যবস্থা নিতে পারি। তিনি বলেন, রয়েলটির নামে চাঁদা নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা