বগুড়ায় সবজি, মাছ, গোশত ও ডিমের দাম বাড়ছেই
- বগুড়া অফিস
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
বগুড়ায় ক্রেতাদের স্বস্তি থাকে না কাঁচাবাজারে গেলে। শাকসবজি, মাছ-গোশত ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দামই চড়া। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দফায় দফায় বেড়ে চলেছে এসব জিনিসপত্রের দাম। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারছে না।
গত শুক্রবার বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, মালতিনগর বকশিবাজারসহ আরো কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাগামহীন দামে বেচা বিক্রি করা হচ্ছে ডিম ও মুরগি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা থেকে ছয় টাকা। আর প্রকারভেদে মুরগির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
খুচরা বাজারে মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। আবার কোথাও কোথাও ১৪৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে ডিম। গত সপ্তাহে যা ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে তা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাত দিন আগেও ছিল ৩২০ টাকা। দেশি জাতের মুরগির দাম বেড়ে সাড়ে চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে মাছ ও গোশতের দামও। গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। বড় খাসির গোশত এক হাজার টাকা কেজি, ছোট খাসির গোশত ৯০০ টাকা ও ছাগির গোশত ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বড় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৬০০ টাকা কেজি দরে, রুই সাড়ে ৩০০ টাকা, কাতল সাড়ে ৪০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও দেশী ছোট মাছ প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক দিন আগে প্রতি কেজি কার্ডিলাল আলু ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম বেড়ে তা ৫০-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকড়ি আলু কেজিতে চার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া ফতেহ আলী বাজারের ডিম ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক জানান, পাইকারি বিক্রেতারা বেশি দামে ডিম বিক্রি করছেন। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের ঘাটতি আছে। তাই ডিমের দাম বেড়েছে। গরমে খামারে অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে। মুরগির খাবারের দামও বেশি। এসব কারনেই ডিমের দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা।
ক্রেতারা বলছেন, তাপদাহের কারণ দেখিয়ে ফের কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অবৈধ মজুদ করে তারা বাজার অস্থির করছে। ক্রেতাদের দাবি, আলুসহ ডিমের অবৈধ মজুদের মাধ্যমে কৃত্রিম সঙ্কট যেন তৈরি না হয় সেদিকে প্রশাসনের নজর দেয়া জরুরি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা