কুষ্টিয়ায় সবজির বাজারে চাষিরা ক্ষতিতে আর ব্যবসায়ীরা লাভবান
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
কুষ্টিয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দরের ব্যাপক তারতাম্য রয়েছে। এতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা সবজির দাম পাচ্ছেন না। মুনাফা লুটে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন উপজেলায় সব ধরনের সবজির চাষ হয়। বর্তমানে বাজারগুলোতে সবজির সরবরাহও ভালো। চাষিরাও আগাম মৌসুমী সবজির চাষ অব্যাহত রেখেছেন। শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা সবজির বাজার হচ্ছে পৌর বাজার। সেখানকার আড়তগুলোতে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ সবজির আমদানি হচ্ছে। মূল আড়তের বাইরে শাক ও ডাটা জাতীয় সবজি শহরের ব্যস্ততম এন রোডে এসে জমা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, আড়ত থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনেই পৌর বাজারে নিয়ে নিয়ে খুচরা বিক্রি করা হয়। অথচ এর মধ্যেই দামের ব্যাপক তারতম্য হয়ে যায়। এসব দেখার কেউ নেই। জেলায় বাজার কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি বাজারের খোঁজখবরও নিচ্ছেন নিয়মিত। কিন্তু কোন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এর একটা বিহিত করা বা সমাধান আনার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ চোখে পড়েনি কারো।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের পৌরবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু কেজিতে ৪৪-৪৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কেজিতে সেটি ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন পাইকারি ১৯০-২০০ টাকা কেজি, আর খুচরা বাজারে ২০০-২২০ টাকা। পেঁয়াজ পাইকারি ৫০-৫৭ টাকা কেজি, খুচরা ৬০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটোল পাইকারি ৩৩-৩৫ টাকা, খুচরা ৪০-৫০ টাকা। লাল শাক পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকা, খুচরা ৪০-৫০ টাকা। ডাটা প্রকারভেদে পাইকারি ১০-২০ টাকা আঁটি, খুচরা ১৫-২৫ টাকা আঁটি।