১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার আগেই জেলে পল্লীতে হতাশা

-

আর মাত্র পাঁচদিন পরই শুরু হচ্ছে সমুদ্রে সবধরনের মাছ শিকারের ওপর টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ দিকে নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্তে সাগরে ইলিশের দেখা নেই। সমুদ্র থেকে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। এ অবস্থায় হতাশায় দিন কাটছে জেলেদের।
দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি নেই উপকূলে। তাই দেখা মিলছে না ইলিশের। রূপালি ইলিশ শিকারের আশায় সমুদ্রের গিয়ে খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা। কারো কারো জালে অল্প কিছু মাছ ধরা পড়লেও তা দিয়ে ট্রলারের তেল ও বাজার খরচ উঠছে না। এ অবস্থায় বেশকিছু দিন ধরে চরম হতাশায় দিন কাটছে জেলেদের। এ দিকে ২০ মে থেকে সমুদ্রে শুরু হচ্ছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞাকালে বঙ্গোপসাগরে সবধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এ কারণে টানা দুই মাসের বেশি সময় বেকার থাকতে হবে সমুদ্রে মাছ শিকারি জেলেদের।
জেলেরা বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলের মধ্যে ৮৬ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও তা প্রকৃত জেলেরা পায় না, চাল চলে যায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘরে বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে টোকেন বিক্রি করে জনপ্রতিনিধিরা। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো যাবে জেলেদের চাল যেন প্রকৃত জেলেদের মাঝে বণ্টন করা হয়।
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারকারী জেলে হাচান মাঝি জানান, প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্তে যে মাছ ধরা পড়ে, তা বিক্রি করে বেকার সময়ের জন্য সঞ্চয় হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে অনেক দিন ধরে মাছ না পাওয়ায়, সঞ্চয় তো দূরের কথা! উল্টো ঋণগ্রস্ত হতে হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ সময় কী দিয়ে সংসার চলবে তা চিন্তিত জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
নিষেধাজ্ঞা ৬৫ দিন দিলে জেলের জন্য কষ্টকর হয় তাই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কমিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন মৎস্যজীবী ও মালিক সমিতির নেতাদের।
রাঙ্গাবালী উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা, শাহাদাত হোসেন বলেন, সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণ ও প্রজননের লক্ষ্যে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ সময় নিবন্ধিত প্রতেক জেলেকে প্রথম ধাপে ৫৬ কজি ও দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কেজি করে মোট ৮৬ কেজি চাল দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement