দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- ১৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়েরসহ দুইজনের নামে দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ও দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এক সময় সাধারণ মাদরাসা শিক্ষক থাকলেও এখন চড়েন ৩৫ লাখ টাকার এসি গাড়িতে। তার নিজের নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে কমলনগর, রামগতিসহ ঢাকায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সাহেবের হাট ইউনিয়নটির অধিকাংশ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সেখানে নির্বাচন দিচ্ছে না কমিশন। এ জন্য প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই তিনি প্রায় ১৪ বছর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার বিকেলে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, ২৯ এপ্রিল জয়নুল আবেদিন নামে এক ব্যক্তি স্পেশাল জজ আদালত ও দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়েরসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদক চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয়কে নির্দেশ দেয়। আগামী ১২ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
বাদি জয়নুল আবেদিন কমলনগর উপজেলার চর জগবন্ধু গ্রামের মৃত মমিন উল্যার ছেলে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবুল খায়ের একই এলাকার মৃত ইয়াসিন পাটওয়ারীর ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। অপর অভিযুক্ত বেলাল হোসেন জুয়েল উপজেলার চর ফলকন গ্রামের মো: শাহজাহানের ছেলে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, জয়নুলের বাড়ি চর লরেন্স ইউনিয়নে। তিনি আমার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। ব্ল্যাকমেইল করে তিনি আমার কাছ থেকে নাগরিক সনদ নেন। আমার এলাকায় কাজীর পোস্টটি খালি। সেখানে তিনি আবেদন করেন। কিন্তু আমি স্থানীয় একজনের পক্ষে সুপারিশ করি। এ জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে কোনো কিছু না পেয়ে অবশেষে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে এ ধরনের একটি মামলা করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা