জামালপুরে ৬ কোটি টাকার সেতু ব্যবহার হয় ধান মাড়াইয়ে
- খাদেমুল বাবুল জামালপুর
- ১৫ মে ২০২৪, ০১:৩৯
জামালপুরের ইসলামপুরে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু ব্যবহৃত হচ্ছে ধানকাটা-মাড়াইয়ের খোলা হিসাবে। ইসলামপুর উপজেলার ইসলামপুর-মাহমুদপুর সড়কের সাথে সদর উপজেলার পচাবহলা থেকে চিনাডুলী ইউনিয়নের (ডেবরাইপেচ মোড়) ধর্মকুড়া জিসি-মাহমুদপুর সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপনে পচাবহলা-ডেবরাইপেচ সংযোগ সড়কের ফটিকাখালের ওপর ৯৬ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হলেও পথচারী, যানবাহন ও এলাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। জামালপুর-২ আসনের এমপি ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল গত বছর ৩ জানুয়ারি সেতুটি উদ্বোধন করেন।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৫১২ টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডির) তত্ত্বাবধানে ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৫ টাকা চুক্তি মূল্যে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তু ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার সংযোগ সড়কের অভাবে পথচারী, যানবাহন চলাচলে সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ধানকাটা-মাড়াইয়ের খোলা হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। এ সময় স্থানীয় আবদুল বাছেদ বলেন, ফৈইটকে খালের ওপর সুন্দর একটি ব্রিজ নির্মাণ করায় আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ব্রিজের পশ্চিম পাশ থেকে ডেবরাইপেচ মোড় পর্যন্ত কোনো রাস্তা নেই। তাই ব্রিজটি কোনো কাজে আসতেছে না।
ব্রিজের ওপর ধান মাড়াই করা কৃষক আনছার আলী বলেন, রাস্তা নাই তো তাই গাড়ি যাওয়া-আসা করে না। খালি পড়ে থাকায় আমরা ধান কাটা মাড়াই করতাছি।
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল হক জানান, রাস্তাটির পাশ কম হওয়ায় জমির মালিকদের আপত্তি থাকায় রাস্তাটি নির্মাণ করা একটু কঠিন। তবে ধর্মমন্ত্রীর আন্তরিক চেষ্টায় দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি ।
এ ব্যাপারে গত রোববার রাতে জামালপুর-২ আসনের এমপি ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ব্রিজ হয়েছে। এক পাশে রাস্তাও হয়েছে। অপর পাশের রাস্তা করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। রাস্তার ফাইলপত্রও সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রক্রিয়াধীন। অর্থ বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এতো অস্থির হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা