মধু গাইরার বিলে বাস্তবায়ন হচ্ছে হাঁস ও মৎস্য খামার প্রকল্প
আয়তন ১০ একর ৬২ শতাংশ- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ১১ মে ২০২৪, ০০:৩৮
ফরিদপুরের সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের মধুর গাইরার বিলে ১০ একর ৬২ শতাংশ জায়গাজুড়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে হাঁস ও মৎস্য খামার প্রকল্প। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমিষের ঘাটতি পূরণসহ ওই এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানে বিরাট ভূমিকা রাখবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে অনুমতি নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোটি টাকা ব্যয়ে বিশাল জলাধার তৈরির কাজ চলছে।
আশা করা হচ্ছে, পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে বছরে ৫০ লাখ টাকার মাছ উৎপাদন করা যাবে। পাশাপাশি মিলবে হাঁস ও হাঁসের ডিম। এ ছাড়া এ খামারের চারপাশে তৈরি করা উঁচু চালাতে লাগানো হবে ভিয়েনামের উচ্চফলনশীল নারকেল গাছ ও নানা জাতের সবজি। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও রফতানি করা যাবে এসব খাদ্য পণ্য।
সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধু গাইরার বিলের এক ফসলি জমিতে মাটি কেটে চালা তৈরি করা হচ্ছে। গত তিন মাস ধরে চলছে এ কাজ। এ প্রকল্পের দক্ষিণ-পশ্চিমে আগে থেকেই রয়েছে এক একর ৬২ শতাংশের একটি বড় পুকুর। এ ছাড়া পুরো প্রকল্পের জমিতে ছোটবড় আরো চারটি পুকুর ও জলা রয়েছে।
মাচ্চর ইউনিয়নের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের শেখ ফরিদ জানান, তার ভাই ফরহাদ শেখের মালিকানাধীন শ্যামসুন্দর মৌজার বিভিন্ন দাগের ৯ একর এবং পাশের গোবিন্দপুর মৌজার এক একর ৬২ শতাংশ জমিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে মেসার্স মরিয়ম হাঁস ও মৎস্য খামার প্রকল্প।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেকার ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে লক্ষ্য ঘোষণা দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এখানকার পুরো জমি নিম্ন জলাভূমি হওয়ায় বছরের ছয় মাস জলাবদ্ধ থাকে। এ সময়ে কোনো ফসল আবাদ করা যায় না। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হতে এ কাজের অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ফরিদপুর বিল, বাঁওড় ও জলাভূমির অঞ্চল হলেও অনেক জলাভূমি ভরাট হয়ে গেছে। প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে বছরে শুধু ৫০ লাখ টাকার মাছই বিক্রি করতে পারা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ দিকে হাঁস ও মাছের খামার গড়ে তোলার কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়রাও খুশি।
শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ খান বলেন, মধু গাইরার বিল মূলত প্রাচীন জলা ছিল। তবে কালে কালে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেখানে বাণিজ্যিকভাবে বর্ষায় মাছও তেমন মিলে না, তেমনি আবার ডোবা জমি থাকায় শুকনো মৌসুমে তেমন ভালো ফসলও হয় না। তাই এখানে মাছের খামার হলে আমরা বহুলোক কাজ করে খেতে পারব।