হোসেনপুরে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি বিএনপির ভোটার টানতে মরিয়া প্রার্থীরা
- জাহাঙ্গীর আলম হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০৫
আগামী ৮ মে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের বিরামহীন গণসংযোগে এখন উত্তাল নির্বাচনী মাঠ। সাদা-কালো ও রঙিন পোস্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাইকিং, মিছিল, পথসভা, ওঠোন বৈঠক ও গণসংযোগ।
এ দিকে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছে। তারা দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানারকম প্রতিশ্রুতিও। অন্য দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতারাও তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে আটঘাট বেঁধে নেমেছেন। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মন জয়ে বেশি সচেষ্ট রয়েছেন। তাই ইউনিয়নওয়ারি ভোটার পরিসংখ্যান, নির্বাচনী পরিবেশ ও সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায় এবার হোসেনপুরে চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েটদের মধ্য ত্রিমুখী লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
যদিও অন্য দুই পদে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই বেশি। এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চারবারের সাবেক শাহেদল ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ শাহ মাহবুবুল হক, হেলিকপ্টার প্রতীকে লড়ছেন স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী এম. এ হালিম, আনারস প্রতীকে লড়ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আয়ুব আলীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল এমকম, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন কবির (কাপ পিরিচ), সাবেক পেশকার, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আলম (দোয়াত কলম) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: রুওশনারা রুনু (টেলিফোন)। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত মোমতাজ ব্যাপারির নাতি আল-আমীন অপু (টিউবওয়েল), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিউদ্দিন সরকার বাচ্চু (চশমা), তরুণ রাজনীতিবিদ নাঈম হাসান সুজন (তালা) ও হাজি আলমগীর কবির সোহাগ (টিয়াপাখি)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদির স্বপনের ছোট মেয়ে তরুণ নারীনেত্রী মোছা: ছাবিয়া পারভীন জেনি (কলস) ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা: সেলিনা সারোয়ার (হাঁস)।
স্থানীয় প্রবীণ রাজনীতিবিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ মার্চের উপনির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম মবিন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করে সে-সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৪ মার্চের নির্বাচনে বিএনপির একটি বড় অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সোহেলকে সমর্থন দিলে তিনিও নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। তবে এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলের অনেক সিনিয়র নেতাকর্মী ওসব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিতে মরিয়া হয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। যে কারণে অন্যবারের তুলনায় এবারের প্রেক্ষাপটও বদলে গেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, বিএনপির ভোট এ নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে স্থানীয় বিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, হেভিওয়েট প্রার্থীরা যদি কৌশলে কিংবা যেকোনো উপায়ে ভোটকেন্দ্রে বিএনপির নারীভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পারেন এবং ভোটারও যদি নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন, তবে এবার হেলিকপ্টার, মোটরসাইকেল ও আনারসের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
সূত্র মতে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে জিনারি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৬৪০ জন, সিদলায় ৩১ হাজার ৩ জন, গোবিন্দপুরে ৩৬ হাজার ৬৭৯ জন, আড়াইবাড়ীয়ায় ৯ হাজার ৪৫২ জন, শাহেদলে ১৯ হাজার ৪৬৩ জন, পুমদিতে ২৪ হাজার ৭৩৮ জন ও হোসেনপুর পৌরসভায় ২১ হাজার ১৯২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা এক লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৫ হাজার ৫৫৬ ও মহিলা ৮০ হাজার ৬১১জন। ভোটকেন্দ্র ৫৯টি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা