ডালের উচ্ছিষ্টে পশুখাদ্য ‘হে’
লাভবান হচ্ছেন বরিশালের কৃষকরা- আযাদ আলাউদ্দীন বরিশাল ব্যুরো
- ০১ মে ২০২৪, ০০:০৫
আপৎকালে গবাদিপশুর খাদ্যের সঙ্কট কমাতে বরিশালসহ উপকূলবর্তী জেলার কৃষক ও খামারিরা কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে ‘হে’ (ঐধু) ঘাস তৈরির দিকে ঝুঁকছেন। গবাদিপশুর এই বিকল্প খাদ্য ‘হে’ ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন বরিশালসহ আশপাশের জেলার কৃষক ও খামারিরা। হে হলো সবুজ লিগুউমিনাস ঘাসকে শুকনা করে এর পুষ্টিমান অক্ষুণœ রেখে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রাখার একটি পদ্ধতি।
ইউএসএআইডির অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসিডিআই/ভোকা গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা ও পুষ্টির মান উন্নয়নে বরিশাল অঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বরিশালসহ আশপাশের অনেক এলাকায় বছরে চার থেকে পাঁচ মাস বেশির ভাগ জমিতে পানি জমে থাকে। তাই গবাদিপশুকে সারা বছর সবুজ ঘাসের জোগান দেয়া খামারিদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। বরিশালের বেশির ভাগ কৃষক বিভিন্ন ডাল (যেমন- মাষকলাই, মুগ ডাল, খেশারি ও সয়াবিন) চাষে অভ্যস্ত, যা এ এলাকার মানুষের পুষ্টির একটি বড় অংশের জোগান দেয়। কৃষকরা গাছ থেকে ডাল সংগ্রহের পর গাছের উচ্ছিষ্ট অংশে যে প্রোটিন থাকে এবং সেটি গবাদিপশুর জন্য উপকারী তা খামারিদের কাছে এতদিন অজানা ছিল। বর্তমানে মাষকলাই, খেশারি, গাছের উচ্ছিষ্ট অভিনব পদ্ধতিতে আপৎকালীন সময়ের জন্য গরুর খাবার হিসেবে সংরক্ষণ করা শুরু হচ্ছে।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের কৃষক রাজিব মল্লিক বলেন, নতুন টেকনোলজি হিসেবে ‘হে’ তৈরি করা খুবই ভালো পদক্ষেপ। এতে খামারি হিসেবে আমরা অনেক সাশ্রয়ী হবো।
ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঝালকাঠিসহ অন্যান্য জেলার জন্য ‘হে’ টেকনোলজি নতুন উদ্ভাবিত। এতে খামারিদের দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে। খামারিরা আপৎকালীন এটি গরুকে কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে খাওয়াতে পারবেন।
প্রকল্পের সিনিয়র মাঠ সমন্বয়কারী ডা: রিদওয়ানুল হক বলেন, বর্তমান সময়ে খামার পরিচালনা করতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টাকা পশুর খাদ্য খরচেই ব্যয় করতে হয়। খামারিরা তাদের উৎপাদিত ডালের উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে সহজেই হে তৈরি করতে পারেন এবং এটা নাড়াকুটা ও খড়ের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিমানসমৃদ্ধ।
হে তৈরিতে দামি কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না। শুধু একটি কাঠের তৈরি বেলিং বক্স এবং কিছু রশির প্রয়োজন হয়, যা সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা