ওসমানীনগরে ব্রিজের কাজ না করেই টাকা উত্তোলন
এলাকাবাসী দুর্ভোগে- মুহিব হাসান ওসমানীনগর (সিলেট)
- ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫
সিলেটের ওসমানীনগরে ব্রিজের কাজ না করেই ঠিকাদার ১৫ লক্ষাধিক টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কার্যাদেশ হওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলেও গত এক বছর চার মাস ধরে টালবাহানা করে আসছেন। এ নিয়ে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জানা যায়, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের মুতিয়ারগাঁও, হলিমপুর, ভাগলপুর, কলারাইসহ আরো ৭-৮টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের স্বার্থে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্ষুদির খালের ওপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়। গত বছরের জানুয়ারি মাসে কাজটি পায় নিজাম এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠান। ব্রিজের একপাশের বেইজের সামান্য কাজ করে ১৫ লক্ষাধিক টাকার বিল উত্তোলন করে এবং নির্মাণের যাবতীয় মালামাল নিয়ে কাজ বন্ধ রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন।
সরেজমিনে মুতিয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা তাজ উদ্দিন ও আবুল বাশারের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখন বোরো ধান তুলছেন কৃষকরা কিন্তু ব্রিজ না থাকায় অনেক কষ্টে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতেও কষ্ট হচ্ছে। তাই ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানান তারা।
ইউপি চেয়ারম্যান পীর মজনু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি না করার কারণে এলাকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। আজ (সোমবার) বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন বর্তমান ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে ব্রিজটি সম্পন্ন করে দিবেন।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সুহেল রহমান বলেন, ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠান ১৫ লক্ষাধিক টাকার বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে একাধিকবার যোগাযোগ করে কোনো ফল না পেয়ে তিনবার লিখিত শোকজ করেছি, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কোনো উত্তর দেয়নি। সে কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো আমরা।
ঠিকাধারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন রুকু বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য কাজটি অন্য একজনকে দিয়েছিলাম। সে কাজটি ফেলে গিয়ে আমাকে বিপদে ফেলেছে। আগামী সপ্তায় আমি কাজটি শুরু করবো।