কৃষকের সোনালি স্বপ্ন উঠবে ঘরে
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
যশোরের চৌগাছায় ইরি-ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘরে উঠবে কৃষকের সোনালি স্বপ্নের ধান। মাঠজুড়ে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালি ধান। পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবারো ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার কৃষক পরিবারে বইছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা সোনালি ধানের শীষ। প্রতিটি ধানের শীষে যেন কৃষকের রক্তপানি করা ক্লান্তিমাখা জীবনের স্বপ্ন নির্ভর করছে। তার পরও বাম্পার ফলন আর বাংলা নববর্ষের আনন্দে মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎস বইছে। পাকা ধানের শীষে সূর্যের সোনালি রোদ যেন খেলায় মেতেছে। কৃষাণ-কৃষাণিদের মনে বইছে আনন্দ আর মুখভরা হাসি।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, এ বছর ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন।
উপজেলাজুড়ে ধানের বাম্পার ফলনে বাধ-ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে কৃষকরা। দিগন্তজোড়া সোনালি ফসলের মনোরম দৃশ্য যেন পেতে রাখা গালিচা। আমাদের রোপণ করা ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে একসপ্তাহ পরে শুরু হবে ধান কাটার মহোৎসব। ব্যস্ততম সময় কাটাবেন কৃষক-কৃষানিদের। প্রচণ্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালি স্বপ্ন ঘরে তোলার কাজ।
উপজেলার চাদপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার তিন বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তার পরেও ধান চাষে যে খরচ হয়েছে তাতে কমপক্ষে ১৫শ’ টাক মণ দরে ধান বিক্রি করতে পারলে ভালো হবে।
হাজরাখানা গ্রামের আব্দুল কাদের, আন্দারকোটা গ্রামের কৃষক নুরুন্নবী, ইউনুচ আলী, মিজানুর রহমান, আবু কালাম, টেঙ্গুরপুর গ্রামের মোস্তফা খান ও নুরুজ্জামান বলেন, এক বিঘা জমিতে ধান ফলাতে জমি প্রস্তুত থেকে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে যারা বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের পানি এবং নিজেরাই পরিচর্চা করেছেন তাদের জন্য খরচ একটু কমবে। সেক্ষেত্রে প্রতি মণ ধান ১৫’শ টাকার উপরে বিক্রি করতে পারলে তাদের আসল ঘরে আসবে। তবে গরুর খাদ্য হিসেবে ধানের বিচালি করতে পারলে কিছুটা বেঁচে যান কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন বলেন, এ বছরে আবহাওয়া ভালো তাই ধানের ফলন ভালো হবে। তাপে ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ইতোমধ্যে কৃষকরা ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে বোরোধান কাটা হবে। এতে শ্রমিক সঙ্কট অনেকটা কমে আসবে। তা ছাড়া যেসব ক্ষেতে ধান পেকেছে সেসব ক্ষেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা