ভাঙ্গায় দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদটি যেন সৌন্দর্যের আকর
- হারুন আনসারী ফরিদপুর
- ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি যেন সৌন্দর্যের আকর। অনেকের কাছে এটি হাইওয়ে মসজিদ নামেও পরিচিত। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তিন তলাবিশিষ্ট এই মসজিদে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। সুউচ্চ মিনার আর হালকা হলুদাভ (অফ হোয়াইট) মসজিদটি এলাকার দৃশ্যপটই বদলে দিয়েছে। মনোরম পরিবেশে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের সৌন্দর্য দেখতে এবং নামাজ পড়তে অনেকেই ছুটে আসেন এখানে। নামাজ আদায়ের পর অপার্থিব এক প্রশান্তিতে ভরে যায় মন। আধুনিক, চিত্তাকর্ষক ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা সংবলিত মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্রটি এখন সবার কাছে বেশ আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
পদ্মা সেতু হয়ে এশিয়ান এক্সপ্রেসওয়ের শেষ সীমানা ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা। আগের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এলাকাটি। গোল চত্বরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফ্লাইওভার। আট লেন-বিশিষ্ট সুপ্রশস্ত এশিয়ান এক্সপ্রেসওয়ের এই ফ্লাইওভারটিতে দিনরাত হাজার হাজার যান চলাচল করে।
ভাঙ্গা টাউনের বাসিন্দা এ টি এম ফরহাদ নান্নু বলেন, হলুদাভ মসজিদটির বহিরাবরণ বেশ মনোরম। নিয়মিত মুসল্লি ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা এখানে নামাজ পড়েন। জুমার দিনে ভিড় জমে যায়। তিনি আরো বলেন, অবশ্য এখনো আশপাশের কিছু স্থাপনা রয়েছে, যেগুলো মসজিদের সৌন্দর্য কিছুটা মান করে দেয়। সামনের পুকুরটি সংস্কার করা হলে আরো দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে এলাকাটি।
গত বছর জানুয়ারির ১৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই মডেল মসজিদ ও সংস্কৃতিক কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। এখন এটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। মসজিদে একসঙ্গে ১৯০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
ভাঙ্গা উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ফিল্ড সুপারভাইজার এইচ এম রহুল আমীন বলেন, প্রায় ৪০ শতাংশ জমির উপর মসজিদটি নির্মিত। নিরাপত্তার জন্য পুরো ভবনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। লাইবেরী, গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষ, অতিথিশালা, বিদেশী পর্যটকদের আবাসন, লাশের গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এ জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সাথে নিযুক্ত রয়েছেন ইসলামিলক ফাউন্ডেশনের দুইজন কর্মকর্তা ও সহকারী।
মুসলমানদের জন্য ইবাদতখানার পাশাপাশি দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারা দেশে একই মডেলের মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন একটি সময়োচিত উদ্যোগ বলেই মনে করেন সবাই। ইসলামের মহান শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ইসলামিক সংস্কৃতিক চর্চার আরো বিকাশ ঘটবে- এমনটিই প্রত্যাশা সবার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা