মিরসরাইয়ে সৌরভ ছড়াচ্ছে ‘বনজুঁই’
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পথে প্রান্তরে, রাস্তার পাশের ‘বনজুঁই’ সৌরভে সুবাসিত করে তুলছে মানুষের মনকে। রাতের আঁধারে সুবাস ছড়াচ্ছে এ ফুল। ফুলগুলো সহজেই নজর কেড়ে নিচ্ছে স্থানীয়দের। এই ফুল দিনে ফোটে এবং রাতে ছড়ায় সুন্দর সৌরভ। বসন্ত ঋতুতে মাঠে প্রান্তরে যে ফুলগুলো সহজেই মানুষের নজর কাড়ে তন্মধ্যে ‘বনজুঁই’ অন্যতম। এটি বনজ ফুল হলেও সৌন্দর্যের যেন কমতি নেই। অনেকের কাছে ‘বনজুঁই’ বা ভাটফুল, ভাটিফুল, ঘেঁটুফুল বা ঘণ্টাকর্ণ নামেও পরিচিত। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো মিরসরাইয়ের গ্রামীণ সড়কের আনাচে কানাচে সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে নজর কাড়ছে এ ফুল।
‘বনজুঁই’-এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্লেরোডেনড্রাম ভিসকোসাম। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। গাছের প্রধান কাণ্ড খাড়া, সাধারণত দুই থেকে চার মিটার লম্বা হয়। পাতা কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। বনজুঁই সৌর্ন্দযর্বধন ছাড়াও ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ ও পোকামাকড়ের কামড়ে খুবই উপকারী। পলাশ, শিমুলের মতো বিশালত্ব না থাকলেও এ ফুলের সৌরভ বসন্তজুড়েই রাঙিয়ে যায় বন।
সরেজমিন মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের কিনারায় ফুটে আছে ‘বনজুঁই’। অযতœ ও অবহেলায় জন্ম নেয়া এ ফুল সড়কে চলাচলরত পথচারীদের মাঝে সুবাস ছড়াচ্ছে। ফুলের মাঝখানে পুংকেশর পাপড়ি, পাতা, কাণ্ড ফুলটিকে নিখুঁতভাবে সাজিয়েছে। বসন্ত থেকে শুরু করে গ্রীষ্ম পর্যন্ত এ ফুল ফুটতে দেখা যায়।
সাহেরখালী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘বনজুঁই’ ফুলগাছকে আমাদের স্থানীয় ভাষায় বাইদ গাছ বলে থাকি। এ গাছ পোকামাকড় তাড়াতে এবং বিভিন্ন বীজ সংরক্ষণে এ গাছ অনেক কার্যকর। গ্রামের অনেক কৃষক এখনো এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বীজ সংরক্ষণ করে থাকে।
স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বনজুঁই’ দেখে কোনোভাবেই মনে হবে না এটি একটি বুনো ফুল। ঋতুরাজ বসন্তে দেখা যায় এই ফুল। ঝোপঝাড়ে, জঙ্গলে, রাস্তার ধারে, এখানে-সেখানে নিজের সুন্দর রূপ ছড়িয়ে থাকে ‘বনজুঁই’। এ ফুলটি বাংলাদেশের আদি ফুল। সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও নানা গুণে গুণান্বিত এ উদ্ভিদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা