২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কাহালুর সেই প্রধান শিক্ষককে তোপের মুখে ছুটিতে প্রেরণ

-

বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচপীর মাজার বলিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে আন্দোলনের মুখে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে তার শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বিদ্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সংবাদ পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন এবং কাহালু থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস এবং বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক এ কে এম ফজলে রাব্বীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করে ওই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, প্রাইভেট না পড়ার কারণে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী মণিরাকে ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রতিবাদী মণিরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। এতে ওই শিক্ষকসহ তার লোকজন মণিরাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ দৈনিক নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তদন্ত শুরু করেন। আপরাধকে আড়াল করতে এবং ঘটনা অন্য খাতে প্রবাহিত করতে ওই ধূর্ত শিক্ষক মণিরার এক আত্মীয়কে ম্যানেজ করে মাহারা মণিরার কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন এবং বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের মণিরার সাথে কথা বলাসহ মেলামেশা করতে নিষেধ করেন। ফলে মণিরা মানসিকভাবে হতাশ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন। গত সোমবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘুমের বড়ি খায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কাহালু হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে তার পেট থেকে ১৬টি ঘুমের বড়ি বের করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement