ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে শতবর্ষী পুকুর ভরাট
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা- হারুন আনসারী, ফরিদপুর
- ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০
ফরিদপুরের সদরপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে দু’টি প্রাচীন বটগাছ কাটা এবং শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে এ ব্যাপারে রিট পিটিশন দাখিল করার পর পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত ওই রিট পিটিশনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
জানা গেছে, সদরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আকোটের চর ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গলের ডাঙ্গীর বটতলার প্রাচীন শতবর্ষী দু’টি বটগাছ কেটে ফেলা হয়েছে এবং শতবর্ষী পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। বট গাছ কেটে প্রথমে ট্রাকে ভরে বালু ফেলে এবং পরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলে পুকুরটি ভরাট করা হয়।
এ বিষয়ে ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের’ পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার কাউছার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। গত সোমবার (২৯ মে) হাইকোর্টের যৌথ বেঞ্চে রিটের শুনানি শেষে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার আদেশে দেয়া হয়। এর আগে ১৬ মে ওই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধের জন্য ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই-মেইলযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলো ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান মাহমুদ রাসেল এর আগে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে এখানে তাদের জন্য সরকারি খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। তিনি আরো বলেন, পুকুরটিতে আগে পানি থাকলেও বর্তমানে পুকুরটি অনেকাংশেই ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া খাস জমিও অপ্রতুল। ফলে ওই স্থানটিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরির উপযুক্ত জায়গা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সাথে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা