সুনামগঞ্জের হাওররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়নি
- জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
- ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০, আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:০২
সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার ছোট বড় হাওরগুলোতে এবার যথাসময়ে পানি নিষ্কাশন হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসি গঠন না হওয়ায় হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। এতে করে আতঙ্কের মধ্যে আছে লাখ লাখ কৃষক পরিবার। এখন কাজ শুরু করা গেলে যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণ শেষ করা যাবে। তবে কৃষকদের দাবি প্রকৃত কৃষকদের সমন্বয়ে যেন দ্রুত কমিটিগুলো করা হয়। আর কমিটিগুলো নজরদারিতে থাকলে সঠিকভাবে কাজ আদায় করা সম্ভব হবে। গতবার নানা অনিয়ম হলেও কাজ যতটুকু হয়েছে খারাপ হয়নি। আবহাওয়া ভালো থাকায় পুরো ফসলই গোলায় তোলা গেছে। এবারো হাওরের মানুষ সম্পূর্ণ ফসল গোলায় তুলতে পারবে।
জেলায় তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জগন্নাথপুরসহ ১১টি উপজেলায় এবারো ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৭টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবার হাওরে দুই লাখ ১৫ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় এবারো লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। কৃষকেরাও বীজতলা তৈরি, জমি তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করে এখনো ব্যস্তসময় পার করছেন হাওরপাড়ের কৃষকেরা। তবে যথাসময়ে কাজ শুরু করে শেষ করা গেলেই কৃষক খুশি ও স্বস্তিতে থাকতে পারবে। কিন্তু কাবিটা নীতিমালা অনুসারে ১৫ ডিসেম্বর হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ শেষ করার কথা। কিন্তু এবারো অতীতের মতো এ সময়ে কাজ শুরু করা যায়নি। বিলম্ব হওয়ায় কাজ যথাসময়ে কাজ শেষ করা যাবে না বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কার্যক্রম থাকায় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি সম্পন্ন হয়নি।
তবে এবারো প্রয়োজনীয় প্রকল্পে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়ে প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে হাওর আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টসহ হাওরপাড়ের লাখ লাখ কৃষক পরিবার। শুরুতেই বাঁধ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করা গেলে বাঁধের কাজ মজবুত ও টেকসই হয় বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, এবার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৫৫৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ছাড়ের ব্যবস্থা হয়েছে। এ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশায় পিআইসি গঠনের কথা জানালেও গত বুধবার পর্যন্ত পিআইসির অনুমোদিত কপি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে এসে পৌঁছেনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর ছিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, আশা করি শিগগিরই পিআইসি অনুমোদন করে কাজ শুরু করা যাবে। নির্বাচনের কারণে প্রশাসনের সব স্তরেই ব্যস্ততা ছিল। এ কারণে পিআইসি গঠন সম্ভব হয়নি। এখন ব্যস্ততা নেই। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পিআইসি গঠন করে বাঁধ নির্মাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা