২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`
বরগুনার ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১৪৭ চিকিৎসকের পদে কর্মরত ১৪ জন, সেবাবঞ্চিত রোগীরা

সঙ্কট কাটাতে জেলায় ১৩ জন চিকিৎসক পদায়ন করা হলেও যোগদান করেছেন ৪ জন
- ছবি : সংগৃহীত

বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন চিকিৎসক। এদিকে চিকিৎসক সঙ্কট কাটাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জেলায় ১৩ জন চিকিৎসক পদায়ন করা হলেও যোগদান করেছেন মাত্র চারজন। বাকি ৯ জনকে যোগদান করার জন্য চিঠি চালাচালি চলছে। চিকিৎসক সঙ্কটের ফলে উপকূলের মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এক হাজার ৮৩১ দশমিক ৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সাগর উপকূলীয় জেলা বরগুনা। এ জেলায় লোক সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। জেলার ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জন অফিসে ১৪৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ২৮ জন। তবে ২৮ জনের মধ্যে ১৪ জন অনুমোদিত ছুটিতে থাকায় বর্তমানে কর্মস্থলে আছেন মাত্র ১৪ জন চিকিৎসক। এ ছাড়া রয়েছে জনবল সঙ্কটও।

বরগুনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বরগুনা জেলায় নতুন করে ১৩ জন চিকিৎসককে পদায়ন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। কিন্তু তাদের মধ্যে যোগদান করেন মাত্র চারজন। বাকিদেরকে যোগদান করার জন্য একাধিকবার চিঠি চালাচালি করা হলেও এখনো কোনো সমাধান হয়নি।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৭টি পদ থাকলেও কাগজে-কলমে কর্মরত আছেন চারজন। এদের মধ্যে দু’জন সম্প্রতি অনুমোদিত ছুটিতে এবং একজন এমএস রেসিডেন্সি কোর্সে যাবেন। বাকি একজন দিয়ে চলবে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বামনা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কাগজে-কলমে কর্মরত আছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে একজন অনুমোদিত ছুটি এবং আরেক জন এমডি কোর্সে যাবেন। বেতাগীর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত আছেন পাঁচজন। যার মধ্যে একজন অনুমোদিত ছুটিতে, একজন স্বাস্থ্য অধিদফতরে সংযুক্তিতে কর্মরত আছেন। আরেকজন যাবেন এমডি কোর্সে। আমতলী উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত আছেন চারজন। যার মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেক এমডি কোর্সে যাবেন। তালতলী উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দু’জন।

এ ছাড়া বরগুনা সদর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১৩ জনের বিপরীতে সাতজন থাকলেও তাদের মধ্যে চারজন বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্তিতে কর্মরত। এ ছাড়া সিভিল সার্জন অফিসের দু’জন মেডিক্যাল অফিসারের স্থলে আছেন মাত্র একজন।
এদিকে গত ১৮ ডিসেম্বর বরগুনার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়ন করার পরও যোগদান না করা চিকিৎসকরা হলেন ডা: নুর-ই জান্নাতুল ফেরদৌস, ডা: মো: সাজ্জাদ হোসেন, ডা: পথিক বিশ্বাস, ডা: মো: রাকিবুল হাসান, ডা: মানা শায়ন্তা ঘোষ, ডা: রাফসানা রউফ, ডা: মো: ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, ডা: মো: সাইফুর রহমান ও ডা: বুশরা নওরীন। তবে এদের কারো সাথে যোগদান না করার বিষয়ে কথা বলা যায়নি।
বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এ বিষয়ে বলেন, সুদীর্ঘ বছর স্বাস্থ্য বিভাগে চেইন অব কমান্ড না থাকায় এমন রেওয়াজ সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তাররা সরকারি চাকরি করবেন অথচ সরকারের নির্দেশনা মানবেন না- এটাতো হতে পারে না।
এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন ডা: প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, বরগুনা জেলায় তীব্র ডাক্তার সঙ্কট রয়েছে। এ সঙ্কট কিছুটা কাটিয়ে উঠতে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ১৩ জন ডাক্তার পদায়ন করা হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে চারজন ছাড়া বাকিরা যোগদান করেননি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৃথক অধিদফতর গঠনের সুপারিশ ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা কুষ্টিয়ার-দৌলতপুরে চরাঞ্চলের সাইফ বাহিনীর প্রধান আটক শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন ওবায়দুর রহমান কোনো চাপ বা কারো নির্দেশনায় কাজ করবে না নির্বাচন কমিশন : ইসি ফুলবাড়ীতে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ১৬ পবিপ্রবিতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২ দাউদকান্দিতে স্কুলশিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ নেত্রকোনায় ফিরছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

সকল