২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`
গভীর নলকূপ পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্ব

মিঠাপুকুরে ১৫০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত

মিঠাপুকুর উপজেলার মামুদের পাড়া এলাকায় বিএডিসির নলকূপ : নয়া দিগন্ত -


রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি গভীর নলকূপের পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে প্রায় ১৫০ বিঘা জমির বোরোধান চাষাবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার মামুদের পাড়া গভীর নলকূপের আওতাধীন প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে স্থানীয় কৃষক তাদের মৌসুমি ফসল গম, আলুু, ভুট্রাসহ বোরো ধানের আবাদ করেন।

জানা গেছে, গভীর নলকূপটি পরিচালনার জন্য গত ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল ফেরদৌসকে সভাপতি ও জাকির হোসেনকে ম্যানেজার করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ম্যানেজার বিগত মৌসুমের আয়-ব্যয়সংক্রান্ত বিষয়ের কোনো হিসাব কমিটিকে না দিয়ে নিজ পরিবারের লোকজন এবং এলাকার কয়েকজন কৃষককে নিয়ে গোপনে সাত সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করেন। ফলে বর্তমান ও সাবেক কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে যায়। এ অবস্থায় গভীর নলকূপটি চালু না হওয়ায় পাঁচ গ্রামের ছয় শতাধিক বোরো চাষি সেচের পানি না পেয়ে এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।

মামুদের পাড়া গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, গভীর নলকূপের সেচের আওতায় আমার ৩৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এবার এ জমিতে বোরো ধান রোপণ করতে না পারলে পোলাপান নিয়ে সারা বছরই না খেয়ে থাকতে হবে। কৃষক মন্টু মিয়া বলেন, এই নলকূপের আওতায় আমার ১০ কাঠা জমি আছে। এ জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ না করতে পারলে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে মহাবিপদে পড়ব। কৃষক কিনা মণ্ডল বলেন, আমার রয়েছে ২০ কাঠা জমি। পানির অভাবে এবার বোরোর আবাদ করতে না পারলে আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে। কমিটির দ্বন্দ্বে আমরা কেন ক্ষতির মধ্যে পড়ব? আমরা চাই অবিলন্বে কমিটির দ্বন্দ্ব নিরসন হোক। এটি যে আমাদের জীবন মরণের সমস্যা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমরা অভিযোগ আমলে নিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব দু’পক্ষকে নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষকদেরকে তো বসিয়ে রাখা যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement