নাসিরনগরে এনজিও কর্মকর্তা সেজে ৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের অন্তত পাঁচটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রায় অর্ধশত গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণ দেয়ার নামে এনজিও কর্মকর্তা সেজে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে তিন প্রতারক। গত ২৬ জানুয়ারি রোববার উপজেলার কুন্ডা, তুল্লাপাড়া গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গুচ্ছগ্রাম, মছলন্দপুর, তিলপাড়া গ্রামে কয়েকদিন ধরে নীরবে এনজিও কর্মকর্তা সেজে ঋণ দেয়ার কথা বলে সংগঠিত করে গরিব ও অসহায় গ্রামবাসীকে।
ওই তিন প্রতারক নিজেদেরকে প্রত্যাশা নামে একটি এনজিওর কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। পরিচয় নিশ্চিত করতে গ্রামবাসীদেরকে তাদের ভুয়া এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও দু’টি মোবাইল নাম্বার (০১৮৮৬৬১৩৩৪৬ এবং ০১৬০৭০১০৬৬৮) দেয়। মোবাইল নাম্বার দু’টি ঘটনার আগ পর্যন্ত সচল থাকলেও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

এ দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের মো: জিয়ার মালিকানাধীন নরহা ভবনের নতুন বিল্ডিংয়ে অফিস নেয়ার কথা বলে প্রতারকরা সেই বাড়ির একটি কক্ষের চাবি নিয়ে নেয় এবং সেখানে নিজেদের অফিস কক্ষ বানিয়ে নেয়। এর পর ঋণ দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা জমা নেয়। তারা প্রস্তাবিত ঋণের ১০% হিসাবে সঞ্চয়, ২০০ টাকা ভর্তি ফি ও ৩০০ টাকা মূল্যের আবেদন ফরম বিক্রি করে। এরপর তাদেরকে ঋণ দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা গ্রহণ করে।
এলাকাবাসীর মধ্যে উপজেলার তুল্লাপাড়া গ্রামের মোছা: জাহানারা বেগম ৩০ হাজার টাকা, হেলেনা বেগম ২০ হাজার টাকা, মোছা: সাফারুল বেগম ২০ হাজার টাকা, তিলপাড়ার জুয়েলা বেগম ১৫ হাজার টাকা, রফিয়া বেগম ১৬ হাজার ৫০০ টাকা, আজিম হোসেন ১৫ হাজার ৫০০ টাকা, শিরিনা বেগম পাঁচ হাজার টাকা, মছলেন্দপুর গ্রামের কুলসুম বেগম পাঁচ হাজার ৬০০ টাকা, তিলপাড়া গ্রামের নাসরিন বেগম ছয় হাজার টাকা, সুমন মিয়া ১০ হাজার টাকা, দুধ মিয়া ১৬ হাজার ৫০০ টাকা দেন ওই দুই এনজিও কর্মকর্তাকে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে নাছির মিয়া বলেন, প্রতারক এস এম আকরামুজ্জামানের মোবাইল নাম্বার দিয়ে কাস্টমার সার্ভিস থেকে প্রতারকের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন তাদের নামে আদালতে মামলা করা হবে।
নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম বলেন, আমার কাছে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি। কাজেই এ বিষয়ে আমি অবগত নই।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।