২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

চৌগাছায় আ’লীগ নেতার দখল থেকে ৪৩ বিঘা জমি উদ্ধার

শ্রেণি পরিবর্তন করে ধানী জমি হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেয়ার অভিযোগ
-

যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগ নেতা নামধারী ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখল থেকে ৪৩ বিঘার একটি জলমহাল উদ্ধার করেছে বর্তমান উপজেলা ও ভূমি প্রশাসন। ভূমিদস্যু আওয়ামী লীগ নেতা জলমহালটির শ্রেণি (জলমহাল থেকে ধানী) পরিবর্তন করে নিজেদের দখলে নিয়েছিলেন।
গত সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহানের নেতৃত্বে এই জমি (জলমহালটি) অবৈধ দখলমুক্ত করে লাল পতাকা এবং সাইনবোর্ড টাঙিয়ে সরকারের দখলে দেয়া হয়।
উপজেলা ভূমি অফিস ও চৌগাছা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, চৌগাছা পৌরসভার চৌগাছা মৌজার জে.এল. নং-১১ এর এসএ খতিয়ান নং- ৪০০, ৪১০, ১২৭৩, ১৬৪৬, ১৮৫৩, ১১৪৮, ৩১৭০, ২৭৬, ২৪৮, ২৬০২, ২৭৪, ১৮৮, ১৫৯৩, ৯৮০, ২৪৬১, ২৫৫২ ও ৪৬৪ খতিয়ানের এসএ দাগ নং-২২৯৩, যা জলমহাল হিসেবে ছিল আরএস খতিয়ান ০১ এর ২৭টি আলাদা দাগে মোট ১৪.১০০ একর জমি। এই জলমহাল দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের ফজলুর রহমান, খসদেল হোসেন, শামীম হোসেন, কালাম হোসেন ও নবাব আলী অবৈধভাবে দখল করে আসছিলেন। এদের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা।
জলমহালে তারা জোরপূর্বক দখলে রেখে মাছ চাষ করতেন। শুধু দখলই নয়, এই জলমহালের জমি ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সহায়তায় জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ধানী জমি হিসেবে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে চৌগাছা সদর ভূমি অফিস রেকর্ড সংশোধন করে জলমহালে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিসকেস করে। এরপর অবৈধভাবে নিজেদের নামে দখলকারী ব্যক্তিরা দেওয়ানি মামলা করেন। তবে মামলায় তারা হেরে যান। এরপরও ওই ভূমিদস্যুরা জলমহালটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছিলেন।
কিন্তু গত ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার কামাল আহমেদ স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে জলমহালটি এলাকার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এ সময় জনগণের তোপের মুখে পড়ে অবৈধ দখলদার চক্রটি এলাকাছাড়া হয়।
এরপর স্থানীয়রা সবাই মিলে সেই জলমহালে মাছ চাষ করতে থাকে। এদিকে মিসকেস ও দেওয়ানি মামলা নিস্পতি হয়ে যাওয়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান জলমহাল দখলমুক্ত করে সরকারের দখলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
গত সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহানের নেতৃত্বে ওই জলমহালের চৌহর্দিতে লাল পতাকা গেড়ে এবং সাইনবোর্ড পুঁতে দিয়ে জমিটি সরকারের দখলে নিয়ে নেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন জাহান বলেন, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে রেকর্ড করে দখলে রেখেছিল। মিসকেসের মাধ্যমে আমরা সেটির রেকর্ড সংশোধন করে খাস খতিয়ানে নিয়েছি। আজ সেটি দখলমুক্ত করা হলো। তিনি আরো জানান, এখন জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে আবার জলমহালে রূপান্তর করার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। এরপর এটি ইজারা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে জমিটি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। এটি বর্তমানে ধানী শ্রেণিতে আছে বিধায় এর শ্রেণি পরিবর্তন করা হবে। তিনি বলেন, অবৈধ দখলমুক্ত করে সরকারি সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রবাসীদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়ার দাবি কুলাউড়ায় মাটি কাটার অভিযোগে ৩টি ট্রাক জব্দ মার্কিন নতুন প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক আরো বাড়বে : নজরুল ইসলাম টেকনাফ সীমান্তে ৪ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও জে জি হেলথকেয়ারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ওষুধ, রেস্তোরাঁ ও পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, কিছু পাওয়া যায়নি নিখোঁজের তিন দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার সৈয়দপুরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয়, আটকা শতাধিক যাত্রী তুরস্কের স্কি রিসোর্টে আগুনে মৃত্যু বেড়ে ৭৬

সকল