আজও চোখের পানিতে ভাসছেন সাব্বিরের মা
- চিতলমারী (বাগেরহাট) সংবাদদাতা
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেটে সাব্বিরের নাম দেখে চোখে পানিতে বাঁধ ভেঙেছে সাব্বিরের মায়ের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিক্যাল কেস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাব্বির ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো: শহিদুল্লাহ মল্লিক ও গৃহিণী কাকলী বেগমের একমাত্র ছেলে। শহীদদের এ তালিকায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের কলেজ ছাত্র সাব্বির ইসলাম শাকিবের (২১) নামের গেজেট নং-১০৫। মেডিক্যাল কেস আইডি-৯৬৬৩।
সাব্বিরের বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, চিতলমারী শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিল সাব্বির। সে ছিল কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সাব্বিরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল। ১৪ জুলাই পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে সে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
রাতে আমার বাসায় টঙ্গীতে ওঠে। পরদিন অন্দোলনে যোগ দিতে চেষ্টা করলে আমরা তাকে ঘর থেকে বের হতে দেইনি। পরে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টায় উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে দিনভর বিক্ষোভে অংশ নেয় সে। বিকেলে পুলিশের গুলিতে আহত হয় সাব্বির। তার বুকে পাঁচটি গুলি লাগে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জানতে পারি সাব্বির মারা গেছে। পাগলের মতো ছুটে যাই ভাইয়ের খোঁজে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি গুলিতে ঝাঁঝরা ভাইয়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে আছে হাসপাতালের বেডে। ডাক্তার বললেন, আপনার ভাই মারা গেছে, দ্রুত লাশ নিয়ে যান।
সাব্বিরের বড় বোন শারমিন আরো জানান, তারা যখন গাড়িতে করে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন, পথে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকেরা লাশবাহী গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়িটি ভেঙে ফেলে। পরে আমরা অন্য গাড়িতে করে লাশ নিয়ে রাত তিনটির দিকে গ্রামের বাড়ি আসি। লাশ আনার পর পুলিশ আমাদেরকে মাত্র ৪০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিলো দাফনের জন্য। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা