১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
যশোর শিক্ষা বোর্ডে আ’লীগ আমলে প্রেষণে নিয়োগ

৮ জন বদলি হলেও বহাল তবিয়তে ডিডিসহ দু’জন

-

যশোর শিক্ষা বোর্ডে আওয়ামী লীগ আমলে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া দশজনের মধ্যে আটজনকে বদলি করা হলেও অজ্ঞাত কারণে দু’জনকে সরানো হচ্ছে না। তাদের মধ্যে একজন উপপরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) রফিকুর রহমান ও আরেকজন উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ামত এলাহী। ৫ আগস্টের পর নিয়ামত এলাহীকে বদলি করা হলেও অজ্ঞাত কারণে সেই বদলি বাতিল করা হয়েছে। আর বহাল তবিয়তে রয়েছেন উপপরিচালক রফিকুর রহমান।
সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত বদলি করা হয় সাতজনকে। সর্বশেষ, রোববার বদলি করা হয়েছে সচিব প্রফেসর এম আব্দুর রহিমকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে ওএসডি থাকা প্রফেসর এস এম মাহবুবুল হককে নতুন সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডে ১০টি পদ রয়েছে প্রেষণের। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেই সরকার সমর্থিত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা এই ১০টি পদে প্রেষণে বদলি হয়ে আসেন বোর্ডে। এরপর বেশির ভাগ বিশেষ করে কলেজ পরিদর্শক, বিদ্যালয় পরিদর্শক, উপকলেজ পরিদর্শক, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক জড়িয়ে পড়েন নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। বেশ কিছুদিন ধরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধেও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন শিক্ষকরা।
আওয়ামী লীগ আমলে সর্বশেষ কলেজ পরিদর্শক পদে থাকা সমীর কুমার কণ্ডু ও উপকলেজ পরিদর্শক মদন মোহন দাসের বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই দু’কর্মকর্তা বছরের পর বছর বিভিন্ন পদে বোর্ডে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে তাদের দফতরের পিয়নরাও ছিল অপ্রতিরোধ্য।
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ সমীর কুমার কুণ্ডু ও তার সহযোগী মদন মোহন দাসকে বদলি করা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যে বদলি করা হয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিশ্বাস শাহীন আহম্মদকে। এরপর বিদ্যালয় পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক চঞ্চল কুমার বাছাড় ও অডিট অফিসার আব্দুল করিমকে বদলি করা হয়। এদের পরে বদলির তালিকায় যুক্ত হন চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। তাকে ওএসডি করা হয়েছে। সর্বশেষ, রোববার বদলি করা হয়েছে সচিব প্রফেসর এম আব্দুর রহিমকে। এখনো পর্যন্ত রয়েছেন প্রেষণে আসা উপপরিচালক রফিকুর রহমান ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) নিয়ামত এলাহী।
প্রচার রয়েছে, উপপরিচালক রফিকুর রহমান সদ্য ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তারের দেবর। যদিও মর্জিনার আগেই বোর্ডে আসেন রফিকুর রহমান। আর নিয়ামত বর্তমান সরকার সমর্থিতদের মাধ্যমে থেকে গেছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বোর্ডের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপপরিচালক রফিকুর রহমান ও উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়ামত এলাহীকে সরিয়ে নতুন কাউকে আনার দাবি জানান।
এ দিকে নতুন করে আসা কর্মকর্তাদের কারো কারো দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের বক্তব্য, কোনো কোনো কর্মকর্তা না বুঝেই অনেক কিছু করছেন। যা বোর্ডের জন্য নেতিবাচক হচ্ছে। নতুন কর্মকর্তাদের বুঝেশুনে কাজ করার কথা বলেন বোর্ডের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তা না হলে সুনাম হারাবে যশোর বোর্ড।


আরো সংবাদ



premium cement
আরো ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব কারাজীবনের অবসান, কাল মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর সীমান্ত ইস্যু এক দিনে সমাধান সম্ভব নয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বচ্ছ কাঁচের ঘরে রিমান্ডের সুপারিশ পুলিশ সংস্কার কমিশনের রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত এনবিআরের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ : সংস্কার কমিশন গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার শরীয়তপুরে ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালালের লাশ উত্তোলন সাবেক এমপিদেরসহ শতাধিক গাড়ি নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টম পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগে শারীরিক যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ বাড়ল স্বর্ণের দাম

সকল