০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

মাটি কেটে নেয়ায় ঝুঁকিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার

বরগুনার আমতলীতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টাওয়ারের নিচ থেকে কেটে নেয়া হয়েছে মাটি : নয়া দিগন্ত -

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের ৪১৩ ফুট উঁচু টাওয়ারের পিলারসংলগ্ন জমির মাটি ১৫ ফুট গভীর করে কেটে ইটভাটার নেয়া হয়েছে। প্রভাবশালী জলিল মৃধা এ মাটি কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এতে টাওয়ার ধসে বিদ্যুৎ লাইন বিছিন্ন এবং প্রাণনাশের আশঙ্কা করেছেন তারা। ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের। গত শনিবার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া এলাকা দিয়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালণ লাইনের টাওয়ার নিমার্ণ করা হয়। ওই টাওয়ারের পাশের ফসলী জমির মাটি জলিল মৃধা শনিবার কেটে বিবিসিকো এবং এমএমসি ইটভাটায় বিক্রি করে দিয়েছেন। ১২৬ মিটার (৪১৩ ফুট) উঁচু বিদ্যুৎ টাওয়ারসংলগ্ন জমির মাটি কেটে ১৫ ফুট গভীর করায় ঝুঁকিতে রয়েছে টাওয়ারটি। তারা আরো বলেন, টাওয়ারটি ১২৬ মিটার উঁচু। ওই টাওয়ার ভেঙে পড়লে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াসহ প্রাণনাশেরও আশঙ্কা রয়েছে।
টাওয়ারের পাশে বসবাসরত শাহিনুর বেগম বলেন, টাওয়ারের পাশ থেকে মাটি কাটতে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু জলিল মৃধা শুনেননি। এমন গভীর করে মাটি কেটেছে যেকোনো সময় টাওয়ার ধসে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জলিল মৃধা বলেন, আজ নতুন না, কয়েক বছর ধরেই মাটি কেটে ইটভাটায় দিচ্ছি। কোনো সমস্যা তো হয়নি। কিন্তু টাওয়ারের পাশ থেকে মাটি কেটেছেন কেন? এতে তো টাওয়ারটি ধসে যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, খেঁাজখবর নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা ভূমি অফিসের তহসিলদারকে পাঠানো হয়েছে। তার দেয়া তথ্যানুসারে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement