শৈলকুপায় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
- শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
- ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জুলাই কাশিনাথপুর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী নেতা সাইফুল ইসলামের ছেলে কলেজ ছাত্র রানা আহমেদকে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা কুপিয়ে হত্যা করে।
সেই মামলার আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে বাদি সাইফুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ওমর আলী, কুলসুম বেগম, সাদ্দাম হোসেন, তুহিন খান, ইসলাম খান, হোসাইন খান, আশালুদ খান, সেলিম খান, তাইজেল খান, রোজিনা খাতুন আমির মণ্ডলসহ দুই গ্রুপের ১৫জন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্র রানাহত্যা মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম জানান, আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় শনিবার সকালে আসামি বাবলু খার নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করে মারধর করে। এতে আমার আব্বাসহ সাত আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় মাতব্বর তাজাল খান নামের এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি আমাদের সমাজের লিটন খানের মেয়ে স্কুলছাত্রী রিতা নামের একটি মেয়েকে প্রতিবেশী সাব্বির খানসহ তিন যুবক একা পেয়ে পথের মধ্যে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনায় মেয়ের বাবা লিটন খান বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। সাইফুল এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাদের উপরে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসে। এই ঘটনায় জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান জানান, কাশিনাথপুর গ্রামে সকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা