তিন বছরের ব্যবধানে সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ
- এস এম রহমান পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
- ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
প্রতি বছর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেলের চাহিদা। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে তেলজাতীয় ফসলের পর্যাপ্ত উৎপাদন না হওয়ার লাখ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি করা হতো। সে কারণে সরকার ভোজ্যতেলের ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এতে বিগত মাত্র কয়েক বছরে তেল জাতীয় দানাদার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরের ব্যবধানে শুধু সরিষার উৎপাদন বেড়েছে দ্বীগুণেরও বেশি।
চলতি মৌসুমে (২০২৪-২০২৫) ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭ লাখ ২৬ হাজার টন। এর আগের বছর (২০২২-২০২৩) চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ দেশের ১৪টি কৃষি অঞ্চলে ৮ লাখ ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষা উৎপাদন হয়েছিল ১১ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। আর এ বিপুল পরিমাণ চাহিদার বিপরীতে দেশে উৎপাদিত ভোজ্যতেলের পরিমাণ হচ্ছে মাত্র ছয় লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরিষা থেকে উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে পাঁচ লাখ এবং তিল ও সূর্যমুখী থেকে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল। যা মোট ভোজ্যতেলের চাহিদার মাত্র ৩০ ভাগ।
ফলে সঙ্গত কারণেই চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। দেশে তেলের বিপুল ঘাটতি মোকাবেলায় যদি তা বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে প্রতি বছর ভোজ্যতেল আমদানি খাতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি দেশ ভোজ্যতেলেও সয়ংসম্পূর্ণ হবে। এ জন্য কৃষি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়সহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে পর্যাপ্ত বরেন্দ্র অঞ্চলসহ রবি মৌসুমে সেচব্যবস্থা গড়ে তোলা, উন্নত মানের তেল বীজ সরবরাহ ও চাষিদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে প্রতি মৌসুমের লাখ লাখ হেক্টর পতিত জমিতে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনের আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
অপর এক পরিসংখানের জানা গেছে, দেশে পতিত বোরো ও রোপা আউসের জমি রয়েছে প্রায় ২০ লাখ হেক্টর, চরাঞ্চলের জমি রয়েছে ৮ লাখ হেক্টর, হাওর অঞ্চলের জমি রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ হেক্টর, উপকূলীয় জমি রয়েছে প্রায় ৯ লাখ হেক্টর। এ ছাড়াও পাহাড়ি অঞ্চলের সরিষা আবাদ উপযোগী জমি রয়েছে প্রায় ১৬ লাখ হেক্টরসহ প্রায় ৮০ লাখ হেক্টর জমি তৈলজাতীয় দানাদার ফসল চাষ উপযোগী রয়েছে।
তেলবীজ গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, বোরো ও আমন ধান উৎপাদনের মধ্যবর্তী ৯০ দিন দেশের অন্তত ২০ লাখ হেক্টর জমিতে দানাদার তেলবীজ জাতীয় ফসল আবাদের আওতায় আনা গেলে দেশে ভোজ্যতেলের ঘাটতি বেশির ভাগ মিটবে বলে মনে করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা